অজ্ঞানতিমিরান্ধস্য জ্ঞানাঞ্জন শলাকয়া।
চক্ষুরুন্মিলিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ।।
অর্থাৎ, অজ্ঞতায় অন্ধ চক্ষু যিনি জ্ঞানাঞ্জন শলাকা দিয়ে উন্মীলিত করে দিয়েছেন, সেই গুরু তথা শিক্ষককে নমস্কার করি।
যিনি শিক্ষা দেন, জ্ঞান অর্জনকে যিনি সরল করে দেন সেই শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ভারতবর্ষের চিরন্তন ঐতিহ্য। বর্তমান কালে জাতীয় শিক্ষক দিবস পালন সেই পরম্পরারই আধুনিক রূপ বলা চলে!
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা উদযাপিত যে কয়েকটি অনুষ্ঠান আছে তার মধ্যে ‘শিক্ষক দিবস’ অন্যতম। শিক্ষক- শিক্ষার্থী উভয়ের কাছেই এ বড় আনন্দের দিন। সারা বছর যাঁরা পড়ান, যাঁরা ছাত্রছাত্রীদের কাছে আদর্শ তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা সম্মান জানানোর একটা সুযোগ এদিন ছাত্রছাত্রীরা পায়। শিক্ষকেরাও ছাত্রদের কাছে যে ভালোবাসা পান তা তাঁদের পাথেয় হয়ে ওঠে। একথা আমরা সবাই জানি ৫ সেপ্টেম্বর ১৮৮৮ তামিলনাডুর তিরুট্টানিতে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ যিনি ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি। কিন্তু সর্বোপরি তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক, দীর্ঘ জীবন শিক্ষকতা করেছেন তিনি। প্রথম জীবনে তিনি মাইসোর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা করেন তারপর ১১ বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে, ৯ বছর বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ১৬ বছর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মানিত অধ্যাপকের চেয়ারগুলি অলঙ্কৃত করেন। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তার গুণমুগ্ধ ছাত্র ও বন্ধুরা তাঁর জন্মদিন পালন করতে চাইলে তিনি বলেন তাঁর জন্মদিন পালন না করে ৫ই সেপ্টেম্বরকে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হলে তা হবে তাঁর গর্বের বিষয়। এরপর থেকেই তাঁর জন্মদিনটি শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়।
RICE Education এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে ছাত্রছাত্রীরা আসে জীবনে প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে। তরুণ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে গড়ে ওঠে একটি সহযোগিতাপূর্ণ বন্ধুত্বের সম্পর্ক। সারা বছর তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের সুবিধা অসুবিধার কথা শোনেন, যে কোন সময় পড়াশোনা সংক্রান্ত প্রশ্ন নিয়ে হাজির হলে কখনো তাঁরা ফেরান না, ছাত্রছাত্রীদের সবসময় অনুপ্রাণিত করেন। একজন ছাত্রের সফলতায় তাঁদের অবদান অনেকখানি। শিক্ষকতা তো কেবল পেশা নয়, এ এক আদর্শ। RICE Education-এর শিক্ষকরা কখনো সেই সেই আদর্শ বিস্মৃত হন না। তাই সফলতার আলোকবৃত্তে দাঁড়িয়ে RICE Education-এর কোন ছাত্রছাত্রী তাদের শিক্ষকদের কথা না বলে থাকতে পারে না! শিক্ষক দিবস তো কেবল একটা উপলক্ষ্য যেদিন তারা শিক্ষকদের প্রতি তাদের আন্তরিক ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কিছু আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে।
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান পালিত হল RICE Education-এর প্রতিটি শাখায়। সকলে একসঙ্গে কেক কেটে মিষ্টিমুখ করা হল, ছাত্রছাত্রীরা উপহার দিয়ে তাদের প্রিয় স্যার ম্যামদের ভালোবাসা জানালো তারপর ছাত্র-শিক্ষক সকলে একসঙ্গে গ্রুপ ফটো তোলা হল। শিক্ষকদের ছত্রছায়ায় শিক্ষার্থীদের তরুণ হাসিখুশি মুখগুলির ছবি RICE Education-এর সঞ্চয়ের মণিকোঠায় রয়ে যাবে আর ছাত্রছাত্রীরা তো আগামীকাল হয়ে উঠবে সরকারি দপ্তরে দায়িত্বপূর্ণ আমলা বা কর্মকর্তা। RICE Education-এর শিক্ষকরা কিন্তু আবার একটি শিক্ষক দিবসের অপেক্ষা করবেন, আগামী বছরে নতুন একদল ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে!
Published on Sep 07, 2024