ক্লাস ১২এর পর স্কুল জীবনের পড়াশোনা শেষ হয়ে যায়। এরপর পালা গ্র্যাজুয়েট হওয়ার অথবা কোন পেশাদার প্রশিক্ষণ নেওয়ার। এইসময় থেকেই ছাত্রছাত্রীরা ভোটাধিকার সহ নাগরিকত্বের আরও অন্যান্য সুযোগসুবিধা পেতে আরম্ভ করে। একজন দায়িত্বশীল সুনাগরিক হয়ে ওঠার আরম্ভ এখান থেকেই। বড় হয়ে ওঠার আনন্দকে সম্পূর্ণভাবে উপভোগ করতে বড় হয়ে ওঠার দায়িত্ব গ্রহণ করার উপযুক্ত হতে হবে এখন থেকেই।
ছোট ছোট পরীক্ষার পর যে সময় জীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য অনেক বড় পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে সেই সময় থেকেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পড়াশোনায় শিথিলতা এবং অন্যান্য বিনোদনে আসক্তি বাড়তে থাকে। আসলে তারা এই পর্যায়ে এসে হঠাৎ লক্ষ্যহারা হয়ে পড়ে অথবা সঠিক দিশা খুঁজে পায় না। এই বিভ্রান্তি কাটিয়ে সঠিক দিকনির্দেশ করতে পারে RICE Education-এর মত আস্থা ও নির্ভরতার যোগ্য একটি প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সরকারি চাকরির জন্য প্রাথমিকভাবে উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন হয় না, কারণ সরকারি চাকরির পরীক্ষায় গ্যাজুয়েট বা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্তর থেকে মাত্র ১০% প্রশ্ন আসে। তাই শুধু শুধু জেনারেল কোর্সের শেষ হওয়ার অপেক্ষায় সময় পার না করাই ভালো। তাদেরই পোস্টগ্র্যাজুয়েশনের পর পিএইচডি-র মত উচ্চশিক্ষার ভাবনায় থাকা চলে যারা অত্যন্ত মেধাবী এবং ভবিষ্যতে গবেষণামূলক কাজ করতে চায়। নইলে কলেজের পড়াশোনার পাশাপাশি সরকারি চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হওয়াই বিচক্ষণতার কাজ। পরীক্ষা দিতে শুরু করে দেওয়ার পরেও অনেক সুযোগ আছে নিজের ডিগ্রি বাড়িয়ে কর্মজীবনে উন্নতি করার।
ক্লাস 12-এর পর থেকেই শুরু হয় বিভিন্ন পেশাদারি প্রশিক্ষণ, ক্যাম্পাসিং-এর মাধ্যমে চাকরিও পাওয়া যায়। কিন্তু এতো পরিশ্রমের পরেও বেসরকারি চাকরিতে এক ধরণের অনিশ্চয়তা কাজ করে। আছে বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে ছাঁটাইয়ের ভয়, আছে মানসিক চাপ। তাই সরকারি চাকরির কোন বিকল্প হয় না, আর্থিক নিরাপত্তা থেকে সামাজিক প্রতিপত্তি সবই এই সরকারি চাকরির মাধ্যমে অর্জন করা যায়। তাই অনেক ইঞ্জিনিয়ারকেও ব্যাংক এবং অন্যান্য সরকারি ক্ষেত্রে দেখা যায়।
সরকারি চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা তৈরি হয়ে যায় মাধ্যমিক পাশ করার পর থেকেই, আর উচ্চমাধ্যমিকের পর সেই সুযোগ অনেক বেশি। যেকোন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে মাধ্যমিক- উচ্চমাধ্যমিক স্তর থেকেই। সাধারণত, মাধ্যমিক স্তরের থেকেই প্রশ্ন আসে ৭০ শতাংশ, উচ্চমাধ্যমিক থেকে ২০ শতাংশ। মাধ্যমিক- উচ্চমাধ্যমিক স্তরে সায়েন্স, আর্টস কমার্সের একাধিক বিষয় পড়তে হয়, সরকারি চাকরির পরীক্ষাতেও এইসব বিষয় এবং আরও দু-একটা অতিরিক্ত বিষয় মিলিয়ে মোট ১২টা বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হয়। সুতরাং সদ্য উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর স্মৃতিতে বিষয়গুলি টাটকা ও সতেজ থাকতে থাকতেই সরকারি চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া উচিত। এরজন্য এটাই একদম সেরা সময়। যত তাড়াতাড়ি প্রস্তুতি শুরু হবে তত তাড়াতাড়ি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এই কঠিন কম্পিটিশনে উত্তীর্ণ হওয়া যাবে আর উন্নতির সুযোগও থাকবে অনেক বেশি।
এবার দেখে নেওয়া যাক মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক যোগ্যতায় কি কি চাকরি পেতে পারে একজন শিক্ষার্থী। শুধুমাত্র মাধ্যমিক যোগ্যতাতেই পাওয়া যায় MTS (Non-Technical), Rail, Intelligence Bureau, Post Office, এবং সরকারি দপ্তরে একাধিক চাকরি। উচ্চমাধ্যমিকের পর সুযোগ আরও বেশি। CHSL, MTS (Non-Technical), Rail ইত্যাদির মত গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে ৭০ রকমের চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা তৈরি হয়ে যায় উচ্চমাধ্যমিকের পরে।
আমাদের সমাজমানসে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় ছাত্রছত্রীদের প্রতি যে দৃষ্টিভঙ্গি থাকে কলেজ পড়ুয়াদের প্রতি কিন্তু সেই মনোভাব ক্রমশ বদলাতে থাকে, সকলেই একটু আধটু বলতে শুরু করে ভবিষ্যৎ কর্মজীবন নিয়ে পরিকল্পনার কথা। বেশীরভাগ ছেলেমেয়েকেই পড়াশোনা শেষ করে বসে থাকলে বেকারত্বের গঞ্জনা শুনতে হয়। এই হতাশা, এই শূন্যতা কেবলমাত্র উচ্চমাধ্যমিকের পর সঠিক পরিকল্পনা না করে স্রোতে গা ভাসিয়ে দেওয়ার জন্য! বাকি জীবন সম্মান ও স্বাচ্ছন্দে কাটানোর জন্য উচ্চমাধ্যমিকের পর থেকেই চাকরির কথা ভাবতে হবে, কঠোর পরিশ্রমের অভ্যাসকে কাজে লাগাতে হবে এবং অলসতা ত্যাগ করতে হবে। সঠিক পরিকল্পনা, পরিশ্রম, সফলতার অদম্য জেদ নিয়ে লেগে থাকলে সরকারি চাকরি হবেই- বিগত ৩৮ বছরের সাধনা থেকে RICE Education এই অভিজ্ঞতাই অর্জন করেছে। তাই আমরা জোর দিয়ে বলতে পারি অলস বিনোদনে গা-ভাসিয়ে বেকারত্বের ফাঁদে না পড়ে উচ্চমাধ্যমিকের পর থেকেই সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুত হও।
Published on May 18, 2024