উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পরে একটি ছেলে কিংবা মেয়ের কেরিয়ার নিয়ে ভাবনাচিন্তার পরিসর তৈরি হয়, কারণ অনেক সরকারি চাকরিই মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক যোগ্যতায় পাওয়া যায়। RICE Education-এর কর্ণধার প্রফেসর (ডঃ) সমিত রায়ের কথায়, তাঁর ৪০ বছরের দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় তিনি দেখেছেন সরকারি চাকরির সর্বভারতীয় পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য কোন বিশেষ মেধার প্রয়োজন নেই, মধ্যমেধার ছেলেমেয়েরাও সঠিক পরিকল্পনা, দীর্ঘ প্রস্তুতি এবং সাফল্যের জেদ নিয়ে শীর্ষস্থানীয় আমলা হিসাবে পদাধিকার লাভ করতে পারে।
স্কুলে পড়াশোনার সময় সায়েন্স, আর্টস কমার্সের একাধিক বিষয় পড়তে হয়। এগুলো সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বিশেষ সহায়ক হবে। কারণ সরকারি চাকরির পরীক্ষায় স্পেশালাইজেশনের দরকার হয় না, দরকার হয় ১২- ১৫টি বিষয়ের জ্ঞান। আরও উল্লেখ্য যে সরকারি চাকরির পরীক্ষায় মাধ্যমিক স্তরের থেকেই ৬০% প্রশ্ন আসে। ২০% প্রশ্ন আসে উচ্চমাধ্যমিক স্তর থেকে আর মাত্র ১০% প্রশ্ন আসে গ্র্যাজুয়েট স্তর থেকে। সুতরাং, স্কুলের পড়াশোনার অব্যবহিত পরেই সরকারি চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিলে স্মৃতিতে সতেজ বিষয়গুলি সহজেই আয়ত্ত হবে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক যোগ্যতায় একজন শিক্ষার্থী পেতে পারে MTS (Non-Technical), Rail, Intelligence Bureau, Post Office, CHSL এবং সরকারি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে প্রায় ৫০টিরও বেশী চাকরি। স্কুলজীবনে ছাত্রছাত্রীরা এতো খবর জানেই না! আর জানবেই বা কি করে, আমাদের পারিপার্শ্বিকে সেই মনোভাবের অভাব আছে যেখানে প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে ক্লাস এইট- নাইন থেকেই UPSC বা অন্যান্য সর্বভারতীয় পরীক্ষায় বসার মানসিক প্রস্তুতি গড়ে তোলা হয়। এখন সময় এসেছে যখন উচ্চমাধ্যমিকের পরেই শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরির বিষয়ে জানাতে হবে, কলেজের পড়াশোনার পাশাপাশি সরকারি চাকরির প্রশিক্ষণের জন্য ট্রেনিং ইন্সটিটিউশনে পাঠাতেই হবে। কারণ বর্তমানে চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ধরণের এমন কিছু পরিবর্তন আসছে যে শুধুমাত্র মুখস্থ করে এই প্রতিযোগিতায় সফল হওয়া যাবে না।
RICE Education কোন শিক্ষার্থীর সক্ষমতা বা দুর্বলতার ক্ষেত্রটি আগেই চিহ্নিত করে সে কোন কোন পরীক্ষায় বসার যোগ্য স্টুডেন্ট কাউন্সেলিং সেশনে তা প্রথমেই ঠিক করে নেওয়া হয়। তার পরের কাজ ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’। RICE Education-এ ১৫টা সাবজেক্টের বিশাল সিলেবাসকে ১২টা স্টাডি মেটেরিয়ালে ভাগ করে নিয়মিত স্টাডি মেটেরিয়াল দেওয়া হয়। হ্যান্ডআউট দিয়ে দেওয়া হয়। আছে রেফারেন্স মেটেরিয়াল এবং পরীক্ষার জন্য বিশেষভাবে তৈরি আলাদা স্টাডি মেটেরিয়ালও। প্রত্যেকটি SM ধরে ধরে নিয়মিত ক্লাস হয়। কোথাও কোন কিছু আটকে গেলে ছাত্রছাত্রীরা ডাউট ক্লিয়ারেন্স ক্লাসে সেই বিষয়ে শিক্ষকের কাছ থেকে আলাদা করে বুঝে নিতে পারে। ক্লাস চলাকালেই প্রত্যেক ক্লাসে চ্যাপ্টারভিত্তিক ক্লাস টেস্ট নেওয়া হয়। প্রত্যেক চ্যাপ্টার পড়ানোর পরে নিয়মিত সেই চ্যাপ্টারের হোমওয়ার্ক করতে দেওয়া হয়। ১ থেকে ১২ পর্যন্ত সমস্ত SM-এর উপর মিশন ১০০ পরীক্ষা নেওয়া হয়। মান্থলি পরীক্ষার ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রীদের মান্থলি রিপোর্ট দেওয়া হয়। প্রত্যেকটি সেমেস্টারের পরীক্ষার পর মকটেস্টগুলিও দিতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। এখানে আছে লাইব্রেরীর সুবিধা, সেলফ্ স্টাডির জন্য SM গুলির বাইরেও টেক্সট্ পড়তে হয়, রেফারেন্স পড়তে হয়। RICE-এর লাইব্রেরিতে আছে টেক্সট্ ও রেফারেন্স বইয়ের বিপুল সম্ভার। আছে ম্যাগাজিন, দৈনিক খবরের কাগজ, সাপ্তাহিক পত্রিকা এবং পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্নপত্র। ফলে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স থেকে শুরু করে ভাষার নির্মিতি, পরীক্ষায় সম্ভাব্য প্রশ্ন পর্যন্ত সবটুকুকে আয়ত্ত করতে এই লাইব্রেরি শিক্ষার্থীকে অনেকভাবে সাহায্য করে।
RICE Education-এ অভিজ্ঞ শিক্ষকদের দ্বারা ক্লাস, তাঁদের সর্বতোপ্রকার সহযোগিতা ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনা অনেকটা সহজ করে দেয়। সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে RICE-এর WBCS, SSC-র ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যারা সমস্ত ক্লাসটেস্ট, মিশন ১০০, মকটেস্ট ইত্যাদিতে প্রথম ১০০ জনের মধ্যে থাকে, এবং Bangking পরীক্ষায় প্রথম ৫০ জনের মধ্যে থাকে তাদের নিয়ে সুপার ১০০ গ্রুপ তৈরি করে তাদের বিশেষ ক্লাস করানো হয়। তাদের পড়াশুনার মধ্যে রাখতে বুট ক্যাম্প, মনোবল অটুট রাখতে মোটিভেশনাল সেশন আয়োজন করা হয়। বছরভর যা যা সরকারি চাকরির পরীক্ষা হয় প্রত্যেকটি পরীক্ষার নোটিফিকেশন এবং ফর্ম ফিলাপের খুঁটিনাটি RICE Education থেকেই জানতে পারে পরীক্ষার্থীরা। জীবিকা দিশারীর পোর্টাল ও মাসিক পত্রিকা থেকেও পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পায়। একজন শিক্ষার্থীর পড়াশোনা এবং RICE-এ পারফর্মেন্স সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ERP- তে তুলে রাখা হয়। ফলত প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর নিয়মিত ক্লাসে আসছে কিনা, হোমওয়ার্ক করে জমা দিচ্ছে কিনা, মান্থলি টেস্ট, মক টেস্টগুলোতে বসছে কিনা এবং কেমন রেজাল্ট করছে প্রতিটি বিষয় খুঁটিয়ে লক্ষ্য করা হয়। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়, প্রত্যেককেই স্পষ্ট করে চেনেন শিক্ষক থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানের প্রতিরক্ষক পর্যন্ত। সুতরাং একজন শিক্ষার্থীও এখানে অজ্ঞাত নয়। প্রত্যেকের প্রতি RICE Education অভিভাবক সুলভ, এবং শিশুর মত যত্নে তাদের গড়ে তোলে সরকারি চাকরির পরীক্ষায় সাফল্যের লক্ষ্যে। এই উদ্দেশ্যে RICE Education পেরেন্ট- টিচার মিটিং-এরও ব্যবস্থা করে যাতে অভিভাবকেরা জানতে পারেন সন্তান কেমনভাবে পড়াশুনা করছে প্রতিষ্ঠানে, তাঁদের কথাও গুরুত্ব সহকারে শোনা হয়।
RICE Education-এর দীর্ঘ ৩৮ বছরের পথ চলায় দেড় লক্ষেরও বেশী ছাত্রছাত্রী সাফল্যের মুখ দেখেছে। আলোয় ঝলমলে সেই মুখগুলো যখনই তাদের সাফল্যের কাহিনী বলবার সুযোগ পেয়েছে তখনই সর্বাগ্রে স্বীকার করেছে তাদের সাফল্যের পিছনে RICE Education-এর অবদানের কথা। প্রথমে তাদের কোন ধারণাই থাকে না কি কি সরকারি চাকরির পরীক্ষা হয় এবং তার জন্য কি কি পড়তে হয়। যেমন, অস্মিতা চ্যাটার্জি RICE Education-এর একজন সফল ছাত্রী। তার বাবা মায়ের ইচ্ছে ছিল মেয়ে সরকারি চাকুরে হোক। সেই আশা পূরণ করতে RICE Education-এ ভর্তি হয়েছিল অস্মিতা। বর্তমানে সে পশ্চিমবঙ্গ নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরে আইসিডিএস সুপারভাইসার হিসেবে নিয়োগ পেয়ে RICE Education-কে ধন্যবাদ জানিয়েছে। তার কথায় নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে সে আত্মবিশ্বাসী হয়েছে RICE-এ পড়তে এসেই। SSC CGL 2021 এর পশ্চিমবঙ্গের টপার এবং সারা ভারতে দ্বাদশ (১২) স্থান অধিকারী রিয়া দত্ত বর্তমানে অ্যাসিস্ট্যান্ট অডিট অফিসার হিসেবে কর্মরত। RICE Education-এর ১৫তম সমাবর্তন ২০২৪- এ রিয়াকে একটি চারচাকা গাড়ি দিয়ে তার কৃতিত্বকে সংবর্ধিত করা হয়েছে। সেই রিয়ার কথায় সরকারি চাকরির পরীক্ষা, সিলেবাস ইত্যাদি বিষয়ে তার কোন ধারণা ছিল না, সেই স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হয়েছে RICE Education-এ পড়তে এসেই। আবার WBCS 2023-এ 14 Rank করা স্বর্ণাভ হালদার, সেও RICE Education-এর ১৫তম সমাবর্তন ২০২৪-এ গাড়ি বিজয়ী, তার কথায় RICE Education-এর ফ্যাকাল্টিরা এই বিশাল সিলেবাসের কতটুকু পড়তে হবে আর কতটুকু পড়তে হবে না সেই কৌশল শিখিয়ে দিয়ে সিলেবাসটাকে সহজ ও অনায়াস করে দেন।
সরকারি চাকরির জন্য উচ্চশিক্ষার সার্টিফিকেট যথেষ্ট নয়, দরকার তার জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি এবং ট্রেনিং, এটা যত তাড়াতাড়ি হৃদয়ঙ্গম করবে ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকেরা তত তাড়াতাড়িই এ রাজ্যের ছেলেমেয়েরা সর্বভারতীয় আমলাতন্ত্রে নিজেদের জায়গা করে নেবে এবং পরবর্তী ৩০-৪০ বছর উচ্চবেতনে একটি সমৃদ্ধ জীবন কাটাবে। উচ্চমাধ্যমিকের পর সন্তান আর নাবালক থাকে না, তখন থেকেই তাকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও কেরিয়ার সম্বন্ধে দায়িত্বশীল হতে শেখাতে হবে। আর অলসতা নয়, আর কর্মজীবন সম্বন্ধে উদাসীনতা নয়, স্নাতক হওয়ার পাশাপাশি তাকে পাঠাতে হবে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। তাহলেই স্নাতক হওয়ার পর সে একটি সম্মানজনক ও নিশ্চিত কর্মজীবন পাবে – বেকারত্বের দুঃসহ ভার তাকে বইতে হবে না।
Published on May 20, 2024