উত্তরণের পথে

  • ইতিহাস গড়ার অনুপ্রেরণা

“উত্তরণের পথে” একটি এমন অধিবেশন যেখানে RICE গ্রুপের চেয়ারম্যান, অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর প্রফেসর ডঃ সমিত রায় মহাশয় বাংলার ছাত্রসমাজের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন, তাদের উদ্বোধিত করেন, অনুপ্রেরণার সঞ্চার করেন। পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় RICE Education-এর যত শাখা আছে সমস্ত শাখার সকল ছাত্রছাত্রীদের কথা তিনি নিজে শোনেন, কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সম্বর্ধিত করেন এবং সেই অঞ্চলের আশেপাশের কলেজ ছাত্রছাত্রীদের দিশা দেখান যে কীভাবে তারা একটি সরকারি চাকরি পেতে পারে এবং গড়তে পারে নিজের সফল ভবিষ্যৎ। খুব সম্প্রতি ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ RICE Education-এর বেহালা শাখার উদ্যোগে বেহালার শরৎসদনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এমনই একটি অনুপ্রেরণাদায়ক অনুষ্ঠান।

  • পানিপথের যুদ্ধ

 স্যার একটি রবীন্দ্রসঙ্গীতকে তাঁর বক্তব্যের মূলসুর হিসেবে ধার্য করে আবৃত্তি করছিলেন-

          “বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা

        ….আমারে তুমি করিবে ত্রাণ এ নহে মোর প্রার্থনা

          তরিতে পারি শকতি যেন রয়।”

এই আত্মবিশ্বাস, এহেন আত্মনির্ভরতায় জেগে ওঠার জন্য তিনি ডাক দেন বাংলার যুবসমাজকে। তিনি জিজ্ঞাসা করেন ছাত্রছাত্রীদের তারা কি স্বপ্ন দেখে? স্বপ্ন, বড় কিছুর? ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার দশ বছর পর যখন ১০ম ক্লাসে মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষা দিতে যায় তখন সেই পরীক্ষাকে মনে করে যেন পানিপথের ১ম যুদ্ধ। এইভাবে হায়ার সেকেন্ডারি এবং গ্র্যাজুয়েশনের পরে ২য় এবং ৩য় পানিপথের যুদ্ধ শেষ হয়। কিন্তু তাতে সাম্রাজ্য পাওয়া যায় না, বরং মাধ্যমিকের ‘সৌম্য’ বা গ্র্যাজুয়েশনের ‘মঞ্জরী’র পরিচয় ঘুচে গিয়ে তিন অক্ষরের একটি সামাজিক উপাধি পায় সে—“বেকার”। সে দিক থেকে RICE Education তো একটি মন্দির, যা তরুণদের বেকারত্বের অভিশাপ থেকে উত্তরণের পথ দেখায়।

  • কেরিয়ার ও সন্তুষ্টি

বাঙালি তরুণ প্রজন্ম যথেষ্ট বুদ্ধিমান কিন্তু উচ্চাকাঙ্ক্ষী নয়। তারা তলিয়ে চিন্তা করে না যে, ‘জীবন গঠন করতে আমি কোন সুনির্দিষ্ট পথে চলব’। প্রফেসর ডঃ সমিত রায় মহাশয় বলেন যে ছাত্রছাত্রীদের এটা ভাবার দরকার নেই যে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়াই কেরিয়ারের চরম সাফল্য। তাদের সমতুল্য সফল কেরিয়ার গড়ে তোলা যায় সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে। যে কোন সরকারি চাকরির প্রথম বেতন শুরুই হয় প্রায় ৩৫০০০/- টাকা থেকে। CGL-এর ক্ষেত্রে তো প্রথম বেতনই ৭০০০০/- টাকার উপর থেকে শুরু। তাঁর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী খুব শিগগিরই নতুন পে-স্কেল তৈরী হবে যেখানে একজন WBCS অফিসারের বেতন হতে পারে ১,৪০,০০০/- টাকার কাছাকাছি এবং একজন IAS IPS এর মাসিক বেতন হবে অন্তত ৩,৫০,০০০/- টাকার মত। সেইসঙ্গে মান- সম্মান, নিরাপত্তা এবং দেশের জন্য কাজ করতে পারার সন্তুষ্টি তো আছেই।

  • স্বপ্ন বড় কিছুর

কিন্তু বাংলার ছাত্রছাত্রীরা বড় স্বপ্ন দেখতে শেখেনি, স্বপ্নের জন্য রাত জাগতে, ভোরে উঠতে শেখেনি। স্কুল কলেজের পড়াশোনা তারা যতটা গুরুত্ব দিয়ে করে সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য ততটা আদা জল খেয়ে লাগতে পারে না। অথচ পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে ঠিক তার বিপরীতক্রম লক্ষ্য করা যায়। সেখানে স্কুল-কলেজের পড়াশোনা যেমনভাবেই করুক না কেন স্কুলের গন্ডি পার করেই ছাত্রছাত্রীরা একদম একনিষ্ঠতার সঙ্গে UPSC পরীক্ষার জন্য গ্রুপস্টাডি, কোচিং ইত্যাদি শুরু করে দেয়। স্যার অত্যন্ত দূরদর্শীতার সঙ্গে বারবার এমন কথা বলেন যে দেশ কেবল নেতা মন্ত্রীরা চালান না, তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন আমলারা। তাই এই আমলাতন্ত্রে রাজ্য থেকে যত বেশী প্রতিনিধি  পাঠানো যাবে রাজ্যের বিভিন্ন পরিকল্পনা তত সফলভাবে রূপায়িত হবে। তাই শুধু রাজ্য সরকারি পরীক্ষাই নয় কেন্দ্র সরকারি চাকরির পরীক্ষাতেও বসার প্রস্তুতি শুরু করতে হবে স্কুল কলেজ স্তর থেকেই।

  • মেধার বিকাশ

২২ বছর বয়সে কলেজে উত্তীর্ণ হওয়ার পর থেকে ৩২ বছর পর্যন্ত সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসা যায় একাধিকবার। কিন্তু প্রফেসর ডঃ সমিত রায় বলেন এটা কোন রোমাঞ্চের যাত্রা নয় যে একাধিকবার তার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে হবে। যতবার খুশি ততবার পরীক্ষা দিয়ে মাধ্যমিক বা হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষায় পাশ করার কথা কেউ তো ভাবে না, তাহলে চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের এই অবসাদ কেন? কেন প্রথমবারেই প্রাণ পণ করে পরীক্ষায় বসে না প্রার্থীরা? তিনি বলেন জীবনের মাত্র দু- তিনটে বছর গভীর অধ্যাবসায় দিয়ে পড়লেই সরকারি চাকরির মাধ্যমে নিশ্চিন্ত জীবন পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু পড়াশোনায় হতে হবে কঠোর পরিশ্রমী, প্রস্তুতি হতে হবে নিখাদ। ঠিক এইখানেই ছাত্রছাত্রীদের অনেকদূর পর্যন্ত এগিয়ে দেয় RICE Education। কোন ছাত্রছাত্রী আর্টস্‌, সায়েন্স, টেকনোলজি যে ধারারই হোক না কেন RICE Education তাকে সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুত করে তোলে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং পদ্ধতির মধ্য দিয়ে।

  • ক্যাপাসিটি বিল্ডিং

কি এই ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’? ক্যাপাসিটি বিল্ডিং হল একটি প্রক্রিয়া। সে যে ধারারই ছাত্রছাত্রী হোক না কেন তারা খুব বেশী হলে ৫ থেকে ৬টা সাবজেক্ট পড়াশোনা করে আসে অথচ চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে ১৫টা সাবজেক্ট থেকে। যারা আর্টস ব্যাকগ্রাউন্ডের ছাত্রছাত্রী তারা হয়তো অঙ্কে ভয় পায়। এমন কথাও অনেকে বলে “সরকারি চাকরি পেতে হলে অঙ্ক পরীক্ষা দিতে হয়, আমি তো অঙ্কের ভয়েই মাধ্যমিকের পরে আর্টস্‌ নিয়ে পড়েছিলাম।” প্রফেসর ডঃ রায় বলেন, “তোমরা ছাত্রছাত্রীরা এটা কেন বোঝ না ১৫- ১৬ বছর বয়সে যে অঙ্ক ভীষণ কঠিন লেগেছে ২২ বছরের পরিণত মস্তিষ্কে তা খুব সহজেই বুঝতে পারবে”। আর চাকরির পরীক্ষার ৬০% প্রশ্নই আসে মাধ্যমিক স্তর থেকে। বাকি ৩০% উচ্চ মাধ্যমিক স্তর এবং মাত্র ১০% প্রশ্ন আসে স্নাতক স্তরের থেকে। RICE Education ১৫টা সাবজেক্টের বিশাল সিলেবাসকে ১২টা স্টাডি মেটেরিয়ালে ভাগ করে তাকে আত্মস্থ করায় ক্লাস ওয়ার্ক, হোম ওয়ার্ক, উইকলি টেস্ট, মান্থলি টেস্ট, মিশন ১০০, মকটেস্ট ইত্যাদির মাধ্যমে। ধীরে ধীরে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ছাত্রছাত্রীদের ভীতি দূর করে তাদের দুর্বলতর বিষয়টাতে পারদর্শী করে তোলে। একেই বলা হয় ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’। RICE Education  পাশে থাকে প্রিলিমস্‌, মেইনস্‌, ইন্টারভিউ ইত্যাদি পরীক্ষার প্রত্যেকটি ধাপে। RICE মেথডোলজি একজন মধ্যমেধার শিক্ষার্থীকেও চাকরির পরীক্ষায় সফল করে তোলার দাবি করতে পারে।

  • কৃতীদের প্রেরণা

RICE মেথডোলজি যে ছাত্রছাত্রীদের কতখানি আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে তা বোঝা যায় RICE Education-এর কৃতীদের কথায়। RICE- বেহালা শাখার ১৬ জন সফল শিক্ষার্থী, যাঁদের কেউ কেউ আবার একাধিক পরীক্ষায় সফল, কেউ চাকরিরত – তাদের প্রত্যেককে মঞ্চে ডেকে নিজের হাতে সম্বর্ধনা দেন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার প্রফেসর ডঃ সমিত রায় মহাশয়। মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁরা মুক্তকন্ঠে স্বীকার করেন অদম্য জেদ, লেগে থাকার মানসিকতা, আর কঠোর পরিশ্রম ছাড়া সরকারি চাকরি পাওয়ার কোন বিকল্প পথ নেই। সে ক্ষেত্রে RICE Education তাদের পথপ্রদর্শক, সহায়ক এবং অনুপ্রেরণার প্রধান উৎস। RICE Education-এ ভর্তি হওয়া তাদের জীবনের অন্যতম সঠিক সিদ্ধান্ত। সেদিন যদি এই সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করতেন তাহলে সরকারি পদে বসার স্বপ্ন অধরাই থেকে যেত। এই সফল ছাত্রছাত্রীরাই নতুনদের স্বপ্ন দেখান, তাঁদের মধ্যে অন্যতম বিতান চৌধুরী যিনি WBCS-এ সফল হয়ে বর্তমানে কর্মরত, তিনি দর্শকের আসনে সমাসীন বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের সম্বোধিত করে বলেন যে তাঁর অফিসে এখনও অনেক আসন ফাঁকা, এদের সকলকে বিতান তাঁর সহকর্মী হিসাবে সেই ফাঁকা আসনগুলিতে দেখতে চান। এ সাফল্য কেবল একার নয়, পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত তরুণ সমাজকে এই সাফল্য এনে দিতে RICE Education বদ্ধপরিকর।

  • ম্যাথাম্যাজিক

‘উত্তরণের পথে’র আর একটি বিশেষ আকর্ষণ হল প্রফেসর ডঃ সমিত রায়ের ম্যাথস্‌ ট্রিকসের ক্লাস, যাকে বলা যায়— ‘ম্যাথাম্যাজিক’! দর্শকের আসনে বসে থাকা ছাত্রছাত্রীদের কাছে অডিটোরিয়াম তখন এক আশ্চর্য ক্লাসরুম যেখানে ৩৮ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একটি প্রথম শ্রেণীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাণপুরুষ নিজে ক্লাস নিচ্ছেন। স্যার শেখালেন অঙ্কের অসাধারণ কিছু কৌশল যার মাধ্যমে চাকরির পরীক্ষায় বড় বড় অঙ্কের সমাধান করা যাবে খুব সহজে। এইভাবেই তিনি বুঝিয়ে দিলেন যতটা ভয় দূর থেকে লাগে রোজ অনুশীলন করলে দেখা যাবে অঙ্ককে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। শুধু শেখালেন না, একদম শিক্ষকোচিত ভঙ্গিতে ছেলেমেয়েদের পড়া ধরলেন, তাদের অমনোযোগীতার জন্য বকলেন এবং সস্নেহে আশ্বাস দিলেন RICE Education সবার জন্য আছে। যতক্ষণ না সাফল্য মিলছে RICE Education ছাত্রছাত্রীদের পাশে আছে- থাকবে। এমনকী যে কোন সময় কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে, বা পড়াশোনা করতে করতে অবসাদ এলে, বা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়লে, হতাশ লাগলে ছাত্রছাত্রীরা যেন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই উদ্দেশ্যে তিনি নিজের মোবাইল নম্বরটিও সকলের সামনে ঘোষণা করে দিলেন। এতখানি অনুপ্রেরণা, এতখানি নৈতিক বল, মানসিক অবলম্বন দিতে পারেন বলেই তিনি উত্তরণের কান্ডারী, RICE Education তরুণদের নবজাগরণের পথপ্রদর্শক।

  • ইতিহাস গড়ার অনুপ্রেরণা

“উত্তরণের পথে” একটি এমন অধিবেশন যেখানে RICE গ্রুপের চেয়ারম্যান, অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর প্রফেসর ডঃ সমিত রায় মহাশয় বাংলার ছাত্রসমাজের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন, তাদের উদ্বোধিত করেন, অনুপ্রেরণার সঞ্চার করেন। পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় RICE Education-এর যত শাখা আছে সমস্ত শাখার সকল ছাত্রছাত্রীদের কথা তিনি নিজে শোনেন, কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সম্বর্ধিত করেন এবং সেই অঞ্চলের আশেপাশের কলেজ ছাত্রছাত্রীদের দিশা দেখান যে কীভাবে তারা একটি সরকারি চাকরি পেতে পারে এবং গড়তে পারে নিজের সফল ভবিষ্যৎ। খুব সম্প্রতি ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ RICE Education-এর বেহালা শাখার উদ্যোগে বেহালার শরৎসদনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এমনই একটি অনুপ্রেরণাদায়ক অনুষ্ঠান।

  • পানিপথের যুদ্ধ

 স্যার একটি রবীন্দ্রসঙ্গীতকে তাঁর বক্তব্যের মূলসুর হিসেবে ধার্য করে আবৃত্তি করছিলেন-

          “বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা

        ….আমারে তুমি করিবে ত্রাণ এ নহে মোর প্রার্থনা

          তরিতে পারি শকতি যেন রয়।”

এই আত্মবিশ্বাস, এহেন আত্মনির্ভরতায় জেগে ওঠার জন্য তিনি ডাক দেন বাংলার যুবসমাজকে। তিনি জিজ্ঞাসা করেন ছাত্রছাত্রীদের তারা কি স্বপ্ন দেখে? স্বপ্ন, বড় কিছুর? ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার দশ বছর পর যখন ১০ম ক্লাসে মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষা দিতে যায় তখন সেই পরীক্ষাকে মনে করে যেন পানিপথের ১ম যুদ্ধ। এইভাবে হায়ার সেকেন্ডারি এবং গ্র্যাজুয়েশনের পরে ২য় এবং ৩য় পানিপথের যুদ্ধ শেষ হয়। কিন্তু তাতে সাম্রাজ্য পাওয়া যায় না, বরং মাধ্যমিকের ‘সৌম্য’ বা গ্র্যাজুয়েশনের ‘মঞ্জরী’র পরিচয় ঘুচে গিয়ে তিন অক্ষরের একটি সামাজিক উপাধি পায় সে—“বেকার”। সে দিক থেকে RICE Education তো একটি মন্দির, যা তরুণদের বেকারত্বের অভিশাপ থেকে উত্তরণের পথ দেখায়।

  • কেরিয়ার ও সন্তুষ্টি

বাঙালি তরুণ প্রজন্ম যথেষ্ট বুদ্ধিমান কিন্তু উচ্চাকাঙ্ক্ষী নয়। তারা তলিয়ে চিন্তা করে না যে, ‘জীবন গঠন করতে আমি কোন সুনির্দিষ্ট পথে চলব’। প্রফেসর ডঃ সমিত রায় মহাশয় বলেন যে ছাত্রছাত্রীদের এটা ভাবার দরকার নেই যে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়াই কেরিয়ারের চরম সাফল্য। তাদের সমতুল্য সফল কেরিয়ার গড়ে তোলা যায় সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে। যে কোন সরকারি চাকরির প্রথম বেতন শুরুই হয় প্রায় ৩৫০০০/- টাকা থেকে। CGL-এর ক্ষেত্রে তো প্রথম বেতনই ৭০০০০/- টাকার উপর থেকে শুরু। তাঁর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী খুব শিগগিরই নতুন পে-স্কেল তৈরী হবে যেখানে একজন WBCS অফিসারের বেতন হতে পারে ১,৪০,০০০/- টাকার কাছাকাছি এবং একজন IAS IPS এর মাসিক বেতন হবে অন্তত ৩,৫০,০০০/- টাকার মত। সেইসঙ্গে মান- সম্মান, নিরাপত্তা এবং দেশের জন্য কাজ করতে পারার সন্তুষ্টি তো আছেই।

  • স্বপ্ন বড় কিছুর

কিন্তু বাংলার ছাত্রছাত্রীরা বড় স্বপ্ন দেখতে শেখেনি, স্বপ্নের জন্য রাত জাগতে, ভোরে উঠতে শেখেনি। স্কুল কলেজের পড়াশোনা তারা যতটা গুরুত্ব দিয়ে করে সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য ততটা আদা জল খেয়ে লাগতে পারে না। অথচ পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে ঠিক তার বিপরীতক্রম লক্ষ্য করা যায়। সেখানে স্কুল-কলেজের পড়াশোনা যেমনভাবেই করুক না কেন স্কুলের গন্ডি পার করেই ছাত্রছাত্রীরা একদম একনিষ্ঠতার সঙ্গে UPSC পরীক্ষার জন্য গ্রুপস্টাডি, কোচিং ইত্যাদি শুরু করে দেয়। স্যার অত্যন্ত দূরদর্শীতার সঙ্গে বারবার এমন কথা বলেন যে দেশ কেবল নেতা মন্ত্রীরা চালান না, তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন আমলারা। তাই এই আমলাতন্ত্রে রাজ্য থেকে যত বেশী প্রতিনিধি  পাঠানো যাবে রাজ্যের বিভিন্ন পরিকল্পনা তত সফলভাবে রূপায়িত হবে। তাই শুধু রাজ্য সরকারি পরীক্ষাই নয় কেন্দ্র সরকারি চাকরির পরীক্ষাতেও বসার প্রস্তুতি শুরু করতে হবে স্কুল কলেজ স্তর থেকেই।

  • মেধার বিকাশ

২২ বছর বয়সে কলেজে উত্তীর্ণ হওয়ার পর থেকে ৩২ বছর পর্যন্ত সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসা যায় একাধিকবার। কিন্তু প্রফেসর ডঃ সমিত রায় বলেন এটা কোন রোমাঞ্চের যাত্রা নয় যে একাধিকবার তার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে হবে। যতবার খুশি ততবার পরীক্ষা দিয়ে মাধ্যমিক বা হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষায় পাশ করার কথা কেউ তো ভাবে না, তাহলে চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের এই অবসাদ কেন? কেন প্রথমবারেই প্রাণ পণ করে পরীক্ষায় বসে না প্রার্থীরা? তিনি বলেন জীবনের মাত্র দু- তিনটে বছর গভীর অধ্যাবসায় দিয়ে পড়লেই সরকারি চাকরির মাধ্যমে নিশ্চিন্ত জীবন পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু পড়াশোনায় হতে হবে কঠোর পরিশ্রমী, প্রস্তুতি হতে হবে নিখাদ। ঠিক এইখানেই ছাত্রছাত্রীদের অনেকদূর পর্যন্ত এগিয়ে দেয় RICE Education। কোন ছাত্রছাত্রী আর্টস্‌, সায়েন্স, টেকনোলজি যে ধারারই হোক না কেন RICE Education তাকে সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুত করে তোলে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং পদ্ধতির মধ্য দিয়ে।

  • ক্যাপাসিটি বিল্ডিং

কি এই ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’? ক্যাপাসিটি বিল্ডিং হল একটি প্রক্রিয়া। সে যে ধারারই ছাত্রছাত্রী হোক না কেন তারা খুব বেশী হলে ৫ থেকে ৬টা সাবজেক্ট পড়াশোনা করে আসে অথচ চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে ১৫টা সাবজেক্ট থেকে। যারা আর্টস ব্যাকগ্রাউন্ডের ছাত্রছাত্রী তারা হয়তো অঙ্কে ভয় পায়। এমন কথাও অনেকে বলে “সরকারি চাকরি পেতে হলে অঙ্ক পরীক্ষা দিতে হয়, আমি তো অঙ্কের ভয়েই মাধ্যমিকের পরে আর্টস্‌ নিয়ে পড়েছিলাম।” প্রফেসর ডঃ রায় বলেন, “তোমরা ছাত্রছাত্রীরা এটা কেন বোঝ না ১৫- ১৬ বছর বয়সে যে অঙ্ক ভীষণ কঠিন লেগেছে ২২ বছরের পরিণত মস্তিষ্কে তা খুব সহজেই বুঝতে পারবে”। আর চাকরির পরীক্ষার ৬০% প্রশ্নই আসে মাধ্যমিক স্তর থেকে। বাকি ৩০% উচ্চ মাধ্যমিক স্তর এবং মাত্র ১০% প্রশ্ন আসে স্নাতক স্তরের থেকে। RICE Education ১৫টা সাবজেক্টের বিশাল সিলেবাসকে ১২টা স্টাডি মেটেরিয়ালে ভাগ করে তাকে আত্মস্থ করায় ক্লাস ওয়ার্ক, হোম ওয়ার্ক, উইকলি টেস্ট, মান্থলি টেস্ট, মিশন ১০০, মকটেস্ট ইত্যাদির মাধ্যমে। ধীরে ধীরে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ছাত্রছাত্রীদের ভীতি দূর করে তাদের দুর্বলতর বিষয়টাতে পারদর্শী করে তোলে। একেই বলা হয় ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’। RICE Education  পাশে থাকে প্রিলিমস্‌, মেইনস্‌, ইন্টারভিউ ইত্যাদি পরীক্ষার প্রত্যেকটি ধাপে। RICE মেথডোলজি একজন মধ্যমেধার শিক্ষার্থীকেও চাকরির পরীক্ষায় সফল করে তোলার দাবি করতে পারে।

  • কৃতীদের প্রেরণা

RICE মেথডোলজি যে ছাত্রছাত্রীদের কতখানি আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে তা বোঝা যায় RICE Education-এর কৃতীদের কথায়। RICE- বেহালা শাখার ১৬ জন সফল শিক্ষার্থী, যাঁদের কেউ কেউ আবার একাধিক পরীক্ষায় সফল, কেউ চাকরিরত – তাদের প্রত্যেককে মঞ্চে ডেকে নিজের হাতে সম্বর্ধনা দেন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার প্রফেসর ডঃ সমিত রায় মহাশয়। মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁরা মুক্তকন্ঠে স্বীকার করেন অদম্য জেদ, লেগে থাকার মানসিকতা, আর কঠোর পরিশ্রম ছাড়া সরকারি চাকরি পাওয়ার কোন বিকল্প পথ নেই। সে ক্ষেত্রে RICE Education তাদের পথপ্রদর্শক, সহায়ক এবং অনুপ্রেরণার প্রধান উৎস। RICE Education-এ ভর্তি হওয়া তাদের জীবনের অন্যতম সঠিক সিদ্ধান্ত। সেদিন যদি এই সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করতেন তাহলে সরকারি পদে বসার স্বপ্ন অধরাই থেকে যেত। এই সফল ছাত্রছাত্রীরাই নতুনদের স্বপ্ন দেখান, তাঁদের মধ্যে অন্যতম বিতান চৌধুরী যিনি WBCS-এ সফল হয়ে বর্তমানে কর্মরত, তিনি দর্শকের আসনে সমাসীন বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের সম্বোধিত করে বলেন যে তাঁর অফিসে এখনও অনেক আসন ফাঁকা, এদের সকলকে বিতান তাঁর সহকর্মী হিসাবে সেই ফাঁকা আসনগুলিতে দেখতে চান। এ সাফল্য কেবল একার নয়, পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত তরুণ সমাজকে এই সাফল্য এনে দিতে RICE Education বদ্ধপরিকর।

  • ম্যাথাম্যাজিক

‘উত্তরণের পথে’র আর একটি বিশেষ আকর্ষণ হল প্রফেসর ডঃ সমিত রায়ের ম্যাথস্‌ ট্রিকসের ক্লাস, যাকে বলা যায়— ‘ম্যাথাম্যাজিক’! দর্শকের আসনে বসে থাকা ছাত্রছাত্রীদের কাছে অডিটোরিয়াম তখন এক আশ্চর্য ক্লাসরুম যেখানে ৩৮ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একটি প্রথম শ্রেণীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাণপুরুষ নিজে ক্লাস নিচ্ছেন। স্যার শেখালেন অঙ্কের অসাধারণ কিছু কৌশল যার মাধ্যমে চাকরির পরীক্ষায় বড় বড় অঙ্কের সমাধান করা যাবে খুব সহজে। এইভাবেই তিনি বুঝিয়ে দিলেন যতটা ভয় দূর থেকে লাগে রোজ অনুশীলন করলে দেখা যাবে অঙ্ককে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। শুধু শেখালেন না, একদম শিক্ষকোচিত ভঙ্গিতে ছেলেমেয়েদের পড়া ধরলেন, তাদের অমনোযোগীতার জন্য বকলেন এবং সস্নেহে আশ্বাস দিলেন RICE Education সবার জন্য আছে। যতক্ষণ না সাফল্য মিলছে RICE Education ছাত্রছাত্রীদের পাশে আছে- থাকবে। এমনকী যে কোন সময় কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে, বা পড়াশোনা করতে করতে অবসাদ এলে, বা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়লে, হতাশ লাগলে ছাত্রছাত্রীরা যেন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই উদ্দেশ্যে তিনি নিজের মোবাইল নম্বরটিও সকলের সামনে ঘোষণা করে দিলেন। এতখানি অনুপ্রেরণা, এতখানি নৈতিক বল, মানসিক অবলম্বন দিতে পারেন বলেই তিনি উত্তরণের কান্ডারী, RICE Education তরুণদের নবজাগরণের পথপ্রদর্শক।