ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং RICE-এ

  • RICE Education–এর ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেশন

আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিতে সাধারণত ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের ভবিষ্যৎ কেরিয়ারের বিষয়ে গুরুত্বসহকারে ভাবনাচিন্তা করা হয় না। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষা তথা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া নিয়ে যে উদ্দীপনা থাকে তার সিকিভাগও সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য লক্ষ্য করা যায় না। অথচ WBCS, SSC, PSC, CGL, CHSL, Bank, Rail ইত্যাদি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি ক্ষেত্রে অত্যন্ত সম্মানজনক পদে চাকরি পাওয়া যায়। এর জন্য যেমন দায়ি সরকারি চাকরির পরীক্ষা সম্পর্কে একটা সাধারণ ভীতি তেমনই সরকারি চাকরির অনন্ত সম্ভাবনা সম্পর্কে অজ্ঞানতা।

 

  • সুদক্ষ কেরিয়ার কাউন্সেলারের ভূমিকা

ছাত্রছাত্রীদের হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষা দেওয়ার পর থেকেই সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি বিষয়ে ভাবা উচিত। এরপর গ্র্যাজুয়েট হয়ে দিশেহারার মত না ঘুরে যাতে তারা সরকারি চাকরির বিশাল পরিসরে নিজেদের লক্ষ্যটা ঠিক করে নিতে পারে তার জন্য দরকার একজন সুদক্ষ কেরিয়ার কাউন্সেলারের নির্দেশনা। RICE Education –এর কর্ণধার প্রফেসর ডঃ সমিত রায় মহাশয় বলেন, দেশ চালাতে মন্ত্রীরাই যথেষ্ট নন আমলারাও গুরুত্বপূর্ণ। WBCS, UPSC, IAS ইত্যাদি পরীক্ষার দ্বারাই সেই আমলাদের চয়ন করা হয়, কাজেই রাজ্য তথা কেন্দ্রীয় স্তরে আমলা বা ব্যুরোক্রাট তৈরি করতে হলে পরীক্ষাগুলির বিষয়ে সঠিক ভাবে জানা এবং নিখাদ প্রস্তুতি গড়ে তোলা অবশ্য প্রয়োজন।

 

  • সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য দুর্মূল্য সময়

ডঃ সমিত রায় মহাশয় আরও বলেন, গত ৩৮ বছর ধরে RICE Education থেকে রাজ্যের ১.৫ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি পেয়েছে। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতায় তিনি ছাত্রছাত্রীদের সাফল্য ও ব্যর্থতার নিরিখে চারটি শ্রেণিকে লক্ষ্য করেছেন, একদল যারা প্রথাগত শিক্ষাক্ষেত্রে সফল, তাদের একটা অহমিকা থাকে। ফলে সঠিক মেথডে না গিয়ে নিজের মত করে পড়ে সরকারি চাকরির পরীক্ষা ক্র্যাক করতে ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয় একদল অদূরদর্শিতার কারণে সঠিক সময়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ না করে ব্যর্থ হয়। এবং তৃতীয় দল জীবনের সাথে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়। কিন্তু এরা ছাড়াও চতুর্থ এক ধরণের ছাত্রছাত্রী আছে। এরা মধ্যমেধার কিন্তু পরিশ্রমী অদম্য এদের ইচ্ছা, বিশ্বাস। দীর্ঘমেয়াদী পরিশ্রম ও সঠিক প্রতিষ্ঠনের উন্নত প্রশিক্ষণের দ্বারা এরাই কিন্তু সরকারি চাকরিক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করে।

সুতরাং, প্রথাগত পড়াশোনা শেষ করার পর গা ভাসিয়ে দিলে চলবে না। খেয়ে–শুয়ে, ঘুরে–বেড়িয়ে তারপর পড়লে সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রতিযোগিতা জয় করা যায় না। স্কুল কলেজের পড়াশোনার থেকে সম্পূর্ণ পৃথক এই সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য পড়াশোনা। এই সময়টা জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান কালপর্ব যখন দু-তিনটে বছর পড়াশোনার জন্য কৃচ্ছসাধন করলে বাকি জীবনটা স্বচ্ছন্দে, সানন্দে এবং সম্মানের সঙ্গে বাঁচা যায়।

 

  • থাকতে হবে পজ়িটিভ

এইজন্য দ্বাদশ শ্রেণী থেকে স্নাতক পর্বের ছাত্রছাত্রীদের সরকারি চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রথমেই মনস্থির করে নিতে হবে। তারপরে জানতে হবে কোন কোন শিক্ষাগত যোগ্যতায় কি কি পরীক্ষা দেওয়া যায়। আরও জানতে হবে পরীক্ষাগুলির জন্য সম্পূর্ণ সিলেবাস, পরীক্ষার খুঁটিনাটি, পড়ার পদ্ধতি, দ্রুত উত্তর করার কৌশল! আর এই সবকিছুর পরে দরকার মোটিভেশন, বিফলতার পরেও ধৈর্য ধরে লক্ষ্যে স্থির থাকলে সফলতা হাতে আসবেই।

 

  • প্রফেসর ডঃ সমিত রায় মহাশয়ের সঙ্গে সরাসরি দেখা করার সুযোগ

দ্বাদশ থেকে স্নাতকপর্বের শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরির পরীক্ষা সম্পর্কে যাবতীয় ধারণা তৈরি করে দেন এবং তাদের ভীষণভাবে উদ্বুদ্ধ করেন স্বয়ং ডঃ সমিত রায় মহাশয়। বেলঘড়িয়ায় RICE Education–এর হেড অফিস দিশারী ভবনে কেরিয়ার কাউন্সেলিং সেমিনারে তিনি শীক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন— দিশা দেন ভবিষ্যতের। যারা সত্যিই জীবনে সফল মানুষ হতে চায়, সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চায় সেইসব তরুণদের জন্য RICE-এর এই ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেশনে উপস্থিত হতে পারা সত্যিই এক দুর্দান্ত সুযোগ।