RICE Residential-এ একজন WBCS পরীক্ষার্থীর রোজনামচা

  • “বড় হয়ে তুমি কি হবে?”
    এই প্রশ্ন ছোটবেলায় অর্জুনকে (নাম পরিবর্তিত) কেউ জিজ্ঞেস করলেই সে নির্দ্বিধায় জবাব দিত “বাবার মত বিডিও হব”। এখন অর্জুন ভাবে তার অ্যাম্বিশনটা নেহাতই ছেলের হাতের মোয়া নয়— কিছু না ভেবেই শৈশবে হয়ত একথা বলত, কিন্তু এখন সে বোঝে WBCS পাশ করে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কতখানি কঠিন এই কম্পিটিশন!

 

  • লক্ষ্যভেদের সেরা গুরুকুল
    শৈশবে তৈরি হলেও লক্ষ্য ছিল মজবুত। তাই গ্র্যাজুয়েশনের পর সাত-পাঁচ না ভেবে অর্জুন প্রথমেই খোঁজ করেছিল কোথায় WBCS- এর জন্য সেরা কোচিং করানো হয়, তখনই জানতে পারে RICE-এর কথা। দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে যে প্রতিষ্ঠান সরকারি চাকরির পরীক্ষার কোচিং দিয়ে আসছে এবং যার সফল ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১.৫ লক্ষেরও বেশি স্বভাবতই সেই প্রতিষ্ঠান ছেড়ে অন্য কোন দিকে তাকানোর মানেই হয় না। মনস্থির করার পর অর্জুন আরও জানতে পারল RICE-এর এমন একটি প্রিমিয়াম প্রোগ্রাম আছে যা শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য সামগ্রিক প্রশিক্ষণ দ্বারা সর্বোত্তম লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয়। অগ্রগণ্য শিক্ষকদের দ্বারা সযত্নে সাজানো এই চূড়ান্ত প্রশিক্ষণক্রম শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককে এক একটি অনন্য ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করতে আর সবার থেকে স্বতন্ত্র এবং তার নাম RICE Residential। আর কোনদিকে তাকায়নি অর্জুন, “ছাত্রানাং অধ্যয়নং তপ” এই বীজমন্ত্র নিয়ে সে ভর্তি হয়ে গেছে RICE Residential প্রোগ্রামে।

 

  • লক্ষ্য যখন দেশসেবা প্রস্তুতি তার হোক সেরা
    দেশের সেবা তার উদ্দেশ্য, WBCS পাশ করে সরকারি আধিকারিক হওয়া অর্জুনের কাছে মাছের চোখ, যাকে সে বিদ্ধ করবেই। বারাসাতের অ্যাডামাস নলেজ সিটি ক্যাম্পাসে RICE Residential প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে অর্জুন পেয়েছে নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করার পরিবেশ। RICE Residential ক্যাম্পাসের ভিতরেই আছে নিজস্ব জিম। সকাল ছ’টায় ঘুম থেকে উঠেই জিমে চলে যায় সে, কারণ দিনভর এনার্জেটিক থাকতে সকাল সকাল শরীর চর্চার কোন বিকল্প হয় না। আধঘন্টা পঁয়তাল্লিশ মিনিট জিম করার পর হস্টেলে ফিরে ফ্রেশ হয়ে একেবারে তৈরী হয়ে সে চলে যায় ক্যান্টিনে।

 

  • “অন্নচিন্তা চমৎকারা”
    কথায় বলে, “অন্নচিন্তা চমৎকারা”। RICE Residential-এর ক্যান্টিনে এমন সুব্যবস্থা যে খাবারের চিন্তা করতেই হয় না। অর্জুন ভাবে, যদি এই খাবারের ব্যবস্থা না থাকত মা তাকে বাড়ি ছড়ে আসতেই দিত না হস্টেলে। আর সত্যিই তো পেটে ক্ষিদে থাকলে পড়াশোনায় কি মন বসানো যায়? কোথায় সে ঘুরে ঘুরে খাবার খুঁজত! এখানে তিনবেলা খোয়ার চিন্তা নেই, কাজেই মা নিশ্চিন্ত আর সেও। এরপর ক্লাসে চলে যাওয়া।

 

  • পাঠে মনোনিবেশ
    ঠিক ৮.৩০ থেকে ক্লাস শুরু হয়ে যায়। প্রতিদিন সকাল ৮.৩০ থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে ক্লাস। স্যার ম্যাডামরা আসাধারণ পড়ান, অর্জুন খুব উৎসাহ বোধ করে। টানা দুঘন্টার গভীর আলোচনামূলক ক্লাসে এতটুকু অন্যমনস্ক হওয়ার জো নেই, এতোটাই সমৃদ্ধ সেই আলোচনা। তাদের যে স্টাডি মেটেরিয়াল দেওয়া হয় তা অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে গবেষণালব্ধ তথ্যের সাহায্যে তৈরি। পরীক্ষার বিরাট সিলেবাসকে খুব বিজ্ঞানসম্মতভাবে বিভিন্ন S.M (Study Materiyal)-এ বিন্যস্ত করে দেওয়া হয়েছে। এগুলো হাতে পেয়ে আর শিক্ষকদের পড়ানোর পদ্ধতিতে অর্জুনের মনে হচ্ছে সিলেবাস সম্পূর্ণ করা একটুও অসম্ভব হবে না। এর পরেও কারোও যদি বুঝতে অসুবিধা হয় তবে দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত ডাউট ক্লিয়ারিং ক্লাসে সে আরও একবার বুঝে নিতে পারবে। এখানে সরাসরি শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে কোনোও দ্বিধা নেই, তাঁদের মধুর ব্যবহার শিক্ষার্থীদের সবসময় অনুপ্রাণিত করে আরও বেশি করে পড়বার জন্য, আরও অক্লান্ত পরিশ্রম করার জন্য।

 

  • স্বাধ্যায়- নিজের পড়াশোনা
    এর পর কোনদিন অর্জুন লাইব্রেরিতে যায়, ক্লাসে সেদিন যা শিখল সে বিষয়ে নিবিড় অধ্যয়ন করতে। ক্যাম্পাসের বিশাল, বইয়ের সম্ভারে সুসজ্জিত লাইব্রেরি সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৮ ঘন্টাই ছাত্রছাত্রীদের জন্য খোলা। আবার কোন কোন দিন সহপাঠীদের সাথে চলে পাঠ্য বিষয় নিয়ে group study। এর ফলে পড়াশোনার প্রতি আরো বেশি ঝোঁক অনুভব করে অর্জুন- অমুক এই বিষয়ে কতটা এগিয়ে গেছে, বা, ও কত ভালো করে ওই বিষয়টা পড়েছে- ‘আমাকেও পারতে হবে’ এই ভাবনাটা অর্জুনের পড়ার জেদকে বাড়িয়ে তোলে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নিয়মিত অনুশীলন করে এবং বিভিন্ন টেস্ট দেয় অর্জুন- কখনো ক্লাস টেস্ট, কখনো মিশন 100, সাপ্তাহিক  বর্ণনামূলক লেখার পরীক্ষা, মাসিক পরীক্ষা বা মক টেস্ট ইত্যাদি। তার পর রাতের খাবার খেয়ে শুরু হয় ৮.৩০ থেকে স্ব-অধ্যয়ন এবং হোমওয়ার্ক। অর্জুন বুঝতেই পারেনা এই নিয়মানুবর্তীতার মধ্যে দিয়ে কখন RICE তার মেথোডলজির মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে "ক্যাপাসিটি বিল্ড-আপ" করতে থাকে এবং প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর দুর্বলতার ক্ষেত্রকে দক্ষতায় পরিণত করে।

 

  • ঘরের আহ্বান
    আজ অর্জুন বাড়ি এসেছে, প্রতি তিনমাস অন্তর বাড়ি যাওয়ার অবসর পায় তারা। মা তো খুব উদ্বিগ্ন গলায় বলল, “কি রে, এতখানি অসুখ করল বাড়ি চলে এলি না কেন?” অর্জুন মায়ের গলা জড়িয়ে বলল “এতো বড় অসুখ কোথায় মা, সামান্য ভাইরাল ফিভার! তাছাড়া মা, RICE Residential প্রোগ্রামে ক্যাম্পাসের ভিতরেই ডাক্তারও আছেন, তিনিই তো ওষুধ দিয়ে ভালো করলেন! তুমি শুধু শুধুই চিন্তা করছো।” হাসতে হাসতে বাবাও বেড়িয়ে এলেন, বললেন “শুধু শুধুই কি আর ছেলেকে RICE Residential প্রোগ্রামে ভর্তি করেছি? প্রথম প্রথম আমারও সন্দেহ ছিল। RICE-ই আমাকে আশ্বস্ত করেছে যে, ছেলের ভবিষ্যৎ তৈরির লক্ষ্যে RICE Residential প্রোগ্রামই সবচেয়ে নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও সাফল্যের পথে একটি নিশ্চিত পদক্ষেপ। এবার শুধু অর্জুনের লক্ষ্যভেদ করার পালা! কি বাবা পারবি তো?” অর্জুন প্রত্যয়ের সঙ্গে বলল “হ্যাঁ বাবা, আমি পারব!”