SSC পরীক্ষায় রিজনিং বা জেনারেল ইন্টেলিজেন্সের ভূমিকা

স্টাফ সিলেকশন কমিশন বা SSC কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা আয়োজন করে থাকে। এই পরীক্ষাগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল SSC CGL, SSC CHSL এবং SSC MTS। নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি ও সিলেবাস অনুযায়ী এই তিনটি পরীক্ষাতেই রিজনিং বা জেনারেল ইন্টেলিজেন্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। CGL, CHSL এবং MTS পরীক্ষার Tier-I এবং Tier-II তে রিজনিং বা GI-এর Marks distribution বা নম্বর বিভাজন একটু ভিন্ন ধরনের। উল্লেখ্য যে MTS পরীক্ষায় Tier-I এবং Tier-II আলাদাভাবে থাকে না। এই বিষয়ে candidate কে আগে থেকেই জেনে নিতে হবে।

 

GI Subject টি এমন একটি বিষয়, যেখানে যেকোন level এর student একটু serious ভাবে প্রস্তুতি নিলে Full Marks পেতে পারে।এবারে আশা যাক central government এর যে পরীক্ষাগুলো হয়ে থাকে তাতে GI এর কোন কোন টপিকগুলো তাকে পড়াশুনো করে যেতে হবে। প্রথমেই coding-decoding সম্বন্ধে একটু আলোচনা করা যাক। CGL/CHSL/MTS এই ধরনের পরীক্ষাতে আগে যে ধরনের coding-decoding দিত এখন কিন্তু তার standard অনেক high হয়েছে। শুধু তাই নয় যেসব পরীক্ষাতে Tier-II আছে সেখানে weightage বেশি সেখানে আমরা আশা করতে পারি যে Tier-I এর থেকে Tier-II question এর মান একটু উন্নত হতে পারে। তাই যেকোনো chapter একদম basic level থেকে শুরু করে high level পর্যন্ত প্র্যাক্টিস করে যাওয়া উচিত। তার কারণ, আমরা Tier-I এ যে level আসুক না কেন সেটা তো আমি answer করতে পারবো আর Tier-II তে যদি একটু কঠিন question হয় সেটাও আমরা যাতে solve করতে পারি। Tier-I এর জন্য পরীক্ষার্থীরা প্রস্তুতি নিয়ে থাকে Tier-II তে গিয়ে ওই প্রস্তুতিটা আর প্রয়োজন পড়ে না। কারণ, আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া আছে। তাহলে আমরা যদি একটু high level করে যাই তখন যাই আসুক না কেন আমরা solve করতে পারবো। Coding-decoding chapter থেকে দুটি থেকে তিনটি question Central government এর প্রায় প্রতিটা পরীক্ষাতে থাকে। পরবর্তী chapter গুলোর standard নিয়ে আমরা আগেই আলোচনা করেছি তাই আর chapter এর standard নিয়ে আলোচনা না করে আমরা এবারে কোন টপিক থেকে কতগুলি করে question আসতে পারে সেই নিয়েই আমরা আলোচনা করবো। এরপর আসা যাক number series নিয়ে। এখানে দুধরনের question আসে, কখনো wrong number identify করতে বলে অথবা পরবর্তী number কী হবে সেটা জিজ্ঞেস করতে পারে। এটাও আশা করা যায় দুই ধরনের question আসতে পারে।

 

এরপরে আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আসব, Analogy এবং Classification। এই দুটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে কোনো পরীক্ষার জন্য। এখানেও চারটে type থাকে। যেমন, word এর উপর হতে পারে, number এর উপর দিতে পারে, letter এর উপর আসতে পারে এবং group of words এর উপরেও হতে পারে। এই দুটি বিষয়ের ওপরে পরীক্ষার্থীদের কম করে 300 থেকে 400 questions practice করে যেতে হবে। পরবর্তী chapter গুলো Direction test, Dice, Letter series, Blood relations, Venn diagram, Calendar, Missing number, Clock, Sitting arrangement, Puzzle test, Alphabetical test, Mathematical operation, Syllogism, Statement and Conclusions, Statement and Assumptions, Statement and Arguments, Statement and Course of action, Data sufficiency ইত্যাদি। এই যে এতগুলো chapter একসাথে বলা হলো প্রত্যেকটি বিষয়ে আবার তিন-চারটি করে টাইপ থাকে তাই প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে প্রতিটা টপিক থেকে কমপক্ষে 50টি প্রশ্ন প্র্যাকটিস করে যেতে হবে। এরপরে আমরা একটু non-verbal section এ আসি। এই section থেকে যে টপিকগুলো থেকে সাধারণত question আসে সেগুলো হলো Series, Analogy, Classification, Mirror Image, Water Image, Paper Cutting, Paper Folding, Counting of Figures, Matrics, Embedded/Hidden figure, Grouping of Images, Pattern completion, Shape Construction ইত্যাদি। Recent যে পরীক্ষাগুলো হয়েছে তাতে কিন্তু non-verbal series এবং non-verbal analogy থেকে খুব standard questions এসেছে তাই আমি প্রতিটি পরীক্ষার্থীকে বলবো যে এমনভাবেই নিজেকে তৈরি করো যাতে কম দিনের মধ্যে সাফল্য পাওয়া যায়। কিন্তু, যদি পড়াশুনাতে ঘাটতি থাকে তাহলে পরীক্ষায় সুযোগ তো পাওয়া যাবে না এবং বারবার ব্যর্থ হতে হতে নিজের মধ্যে একটি হতাশা তোমাকে গ্রাস করে বসবে। প্রত্যেকদিন at least আট থেকে দশ ঘণ্টার প্রস্তুতি নাও তার ফলে তুমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে পরীক্ষায় বসতে পারবে এবং সাফল্য পাবে।

 

শ্রীভক্তিপদ গিরি

(শিক্ষক, রাইস এডুকেশন)