উদ্যমে-উদ্যোগে ২০২৪; নতুন বছরের নতুন প্রতিজ্ঞা

  1. উদ্যমে-উদ্যোগে ২০২৪; লক্ষ্য যখন সাফল্য 

স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন, “আমি বিশ্বাস করি যে, কেউ কিছু পাওয়ার উপযুক্ত হলে জগতের কোনো শক্তিই তাকে বঞ্চিত করতে পারে না।” তবে এও সত্যি, কর্মই মানুষের নিয়তির গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করে তাই কোন কিছু না করে বসে বসেই সব হাতে পাওয়া যাবে এটা ভাবা অন্যায়। নতুন বছর পড়া মাত্র আমরা সকলেই কিছু অঙ্গীকারবদ্ধ হই। এই অঙ্গীকার ইতিবাচকতার দিকে, সাফল্যের লক্ষ্যে। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই সেই লক্ষ্য হারিয়ে যায়, অঙ্গীকার মন থেকে মুছে যেতে থাকে। তাহলে কি উপায়?  

 

  1. উদ্যমে-উদ্যোগে ২০২৪; নতুন অঙ্গীকার 

এবছর এসো আমরা আরোও একটা অঙ্গীকারবদ্ধ হই, যে বছরের প্রথমে যে লক্ষ্য আমি স্থির করব সেখান থেকে আমাকে কেউ নড়াতে পারবে না, শেষ পর্যন্ত নিজের উপর বিশ্বাস রাখা এবং লক্ষ্যে অবিচল থাকা এই হোক ২০২৪-এর নতুন প্রতিজ্ঞা। সামনেই আছে সরকারি চাকরির একাধিক পরীক্ষা- Food SI, PSC, Clerkship। সরকারি চাকরির প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র যে কতখানি কঠিন তা সকলেরই জানা। এই প্রতিযোগিতায় টিঁকে থাকতে গেলে একমাত্র পথ কঠোর পরিশ্রম! পরিশ্রমবিমুখ হলে বছরের পর বছর পরীক্ষা দেওয়াই সার হবে কাজের কাজ কিছু হবে না। তাই প্রথমদিন পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করার সময় থেকেই মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখা ভাল যে এই স্বপ্নপূরণের জন্য দিনরাত্রি এক করে পরিশ্রম করতে হবে। মন্ত্রের সাধন নইলে শরীর পাতন!   

  

  1. উদ্যমে-উদ্যোগে ২০২৪; শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তীতা 

পরীক্ষার সঠিক প্রস্তুতি হয়েছে তখনই বলা চলে যখন সবগুলো বিষয় সমানভাবে তৈরি হয়। এইজন্য সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে জানা দরকার। প্রথমে একটা রুটিন ঠিক করে নেওয়া উচিত কোন বিষয়ে দক্ষতা আছে কোন বিষয়ে দুর্বলতা তার উপর নির্ভর করে। প্রত্যেকটি বিষয় সেই রুটিন অনুযায়ীই যে সবসময় পড়া যাবে এমনটা নাও হতে পারে, কিন্তু তা বলে রুটিন বাতিল করা যাবে না। কারণ শৃঙ্খলাবদ্ধতাই সাফল্যের প্রথম সোপান, রুটিন সেই শৃঙ্খলার অন্যতম উপাদান। 

 

  1. উদ্যমে-উদ্যোগে ২০২৪; অংক কষে চল 

চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সেইসঙ্গে সবচেয়ে ভয়ের যে জায়গাটা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে থাকে তা হল অংক। তাই অংকের ক্ষেত্রে কোন রুটিন খাটে না, বরং প্রাত্যহিক রুটিনে অংক থাকা উচিত। পৃথিবী তোলপাড় হয়ে গেলেও অংক কষায় কামাই করা যাবে না- এইরকম দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে অংক কষলে একদিন সেই বিষয়টা, যত কঠিনই হোক না কেন, ঠিক আয়ত্তের মধ্যে চলে আসবে। কথায় বলে পেতলের ঘটিও রোজ মাজলে সোনার মত ঝকঝক করে! 

 

  1. উদ্যমে-উদ্যোগে ২০২৪; সাধারণ জ্ঞান 

সাধারণ জ্ঞান চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে এমন একটা বিষয় প্রিলি থেকে ইন্টারভিউ পর্যন্ত যার গুরুত্ব হারায় না। সাধারণ শুনতে হলেও ব্যাপারটা ততটা সাধারণ নয়। এর জন্য নিয়ম করে প্রতিদিন সংবাদপত্র পড়তে হয়, গুরুত্বপূর্ণ খবরের তলায় দাগ দিয়ে রাখতে হয়, নোটবুকে ছোট করে নোটস রাখতে হয়। তেমন তেমন ঘটনা হলে সেই খবরের পরম্পরা অনুসরণ করে নিজের ভাষায় নোট রাখতে হয়। এও প্রাত্যহিক রুটিনের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং,    দৈনন্দিন ঘটনা জানতেই হবে, বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কসূত্র ছিন্ন করলে চলবে না।  

 

  1. উদ্যমে-উদ্যোগে ২০২৪; মনসংযোগ 

অর্জুনকে তাঁর গুরু দ্রোণাচার্য গাছের ডালে বসে থাকা একটি পাখির প্রতি তাক করতে বলে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘কী দেখতে পাচ্ছো?’ উত্তরটা আমরা সবাই জানি যে অর্জুন বলেছিলেন ‘কেবল পাখির চোখটি’। বলাবাহুল্য যার যত লক্ষ্যে নিবদ্ধ দৃষ্টি, যে যত মনোযোগী সে তত তাড়াতাড়ি সাফল্যে পায়, লক্ষ্যে পৌঁছায়। আর লক্ষ্যে না পৌঁছে তো থামা যাবে না, তাই মনোযোগের পথে যত বাধা তা প্রথমেই দূর করে দিতে হবে। প্রথম এবং অবশ্যম্ভাবী বাধা মোবাইল ফোন এবং সমাজমাধ্যম। মন দিয়ে পড়ার সময় বারবার মোবাইল দেখা, সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন পোস্টে প্রতিক্রিয়া দেওয়া মনোযোগ সম্পূর্ণ নষ্ট করে দেয়। বর্তমান যুগে মোবাইল একেবারে বাদ দিয়ে চলাই যায় না। কিন্তু মন দিয়ে পড়ার সময় তো তার থেকে দূরে থাকাই যায়? তাই ২০২৪-এর মনসংযোগের অন্যতম মন্ত্র হোক সামাজিক মাধ্যমকে নীরব করে দেওয়া- অন্তত পড়ালেখার সময়টুকুতে।    

 

সবশেষে বলতে হয় প্রতিবারের মত এবারের প্রতিজ্ঞা অঙ্গীকারগুলো হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না, কারণ এগুলো নিজেকে নিজেরই দেওয়া প্রতিশ্রুতি! পালন করলে তবেই হবে সাফল্য অর্জন! সবার জীবনে সাফল্য ও সৌভাগ্য  বয়ে আনুক নতুন বছর। শুভ ২০২৪! 

The Important things to keep in mind while selecting an Optional for UPSC

“Nothing is more difficult, and therefore more precious, than to be able to decide”-said Napoleon Bonaparte.

 

The similar idea applies to one’s choice of selecting optional subject in the course of UPSC preparation.It is often said that deciding a correct optional for oneself can make or break your preparation.

General idea about optional:

Currently, there are 47 optional subjects available.The optional papers carry a total of 500 marks out of the 2025 marks in the UPSC Mains exam.

Out of the total nine papers in UPSC CSE, the two optional papers that candidates need to choose play a significant role in determining the final score and rank.

Factors to keep in mind while selecting optional paper are:

Taking a note of the syllabus and time availability:-An optional subject with a lesser syllabus can help you easily cover the subject within a predetermined time frame.

Some optionals that can be considered are - Sociology,Anthropology,Geography etc.

Overlapping syllabus with General studies paper:-This will help you save a lot of time.Some optional subjects, such as history, political science and international relations, sociology, geography, economics, and public administration, have syllabuses that overlap with the general studies (GS) syllabus in both UPSC Prelims and Mains.

For example: Sociology can help you to bring forth points in essay and ethics paper and help you with better understanding of societal problems.

Developing interest in the subject:-Preparation of optional requires significant amount of understanding of the subject nearly upto post graduation level.Interest in the subject will keep you binded in the long run.

Other ways in which you can decide are:

  • Go through the previous year question paper thoroughly.
  • Read basic NCERT of the subject.
  • If your graduation subject is available you can go for it but yes make sure the syllabus is minimal .
  • Availability of resources and proper guidance is also important. Some optionals are lacking in this aspect.

 

 

I hope this helps you to make a decision regarding your optional subject.

RICE Education-এর ১৫ তম সমাবর্তন

 
 
 

RICE Education- এর ১৫তম সমাবর্তন 

 

  • RICE Education-এর ১৫তম সমাবর্তনঃ সাফল্যের উদ্‌যাপন 

RICE Education আয়োজন করতে চলেছে তার ১৫তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সফল ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধিত করতে, প্রাক্তনীদের সঙ্গে পুনর্মিলন এবং বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করতে এই সমাবর্তন হতে চলেছে এক মহাসমাবেশ। দীর্ঘ ৩৮ বছরের পরম্পরায় RICE Education-এর ১.৫ লক্ষাধিক ছাত্রছাত্রী কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি ক্ষেত্রে সফল কর্মজীবন অর্জন করেছে। সমাবর্তনে তাদের সকলের সমাগম প্রতিষ্ঠানে একটি ইতিবাচক পরিবেশ রচনা করবে বলে আশা করা যায়।  সেইসঙ্গে বর্তমানে সরকারি চাকরির পরীক্ষায় সফল হয়ে যারা পদাধিকারী হয়েছেন বা পদে যোগদানের জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় আছেন তাদের কাছেও শোনা যাবে সরকারি চাকরির প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্রে তাদের লড়াই, অটুট মনোবল এবং সাফল্যের একান্ত নিজস্ব কাহিনী।  

 

  • RICE Education-এর ১৫তম সমাবর্তনঃ স্থান ও তারিখ 

বারাসাতের অ্যাডামাস নলেজ সিটিতে এখন সাজো সাজো রব। ১১ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ এখানেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই বিরাট অনুষ্ঠান। সমাবর্তনে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছে সফল ছাত্রছাত্রীদের। তাদের সংবর্ধনা জানাতেই  তো এই আয়োজন! আমন্ত্রণ করা হয়েছে সরকারি কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত RICE Education-এর প্রাক্তনীদের, তারা নতুনদের সামনে এক দৃষ্টান্তস্বরূপ। তাদের কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা, ব্যক্তিজীবন ও কর্মজীবনের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রেখে চলা, কর্মক্ষেত্রে জনসংযোগের নানা ছোটখাটো গল্প কর্মজীবনের প্রবেশের পথে নতুনদের পথপ্রদর্শন করবে। আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় আছেন বিভিন্ন কলেজের অধ্যাপক, ব্লক স্তরের সকল আধিকারিক, বিডিও ও প্রশাসকেরা। এছাড়াও RICE Education-এর সমস্ত অনুষ্ঠানে যাদের পূর্ণ অধিকার সেই ছাত্রছাত্রীরা তো আছেই।   

 

  • RICE Education-এর ১৫তম সমাবর্তনঃ পুনরুজ্জীবনের সুবর্ণ সুযোগ 

প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের জন্য এ এক সুবর্ণ সুযোগ নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করার, লক্ষ্যের প্রতি আরও অবিচল হওয়ার। কারণ তারা চোখের সামনে দেখবে সফল ব্যক্তিত্বদের, তাদের নিজমুখে শুনবে সফলতার আগে কঠোর পরিশ্রমের কাহিনী। বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরা তাঁদের সুচিন্তিত বক্তব্যের মাধ্যমে হয়তো ছাত্রছাত্রীদের দেখাতে পারবেন কোন নতুন দিশা। তবে এর পাশাপাশি রয়েছে কিছু আনন্দের উপকরণও! শেষপর্বে বিশিষ্ট একটি সংগীতানুষ্ঠান আনন্দ দেবে সবাইকে। রয়েছে মধ্যাহ্নভোজনের ব্যবস্থাও।      

 

  • RICE Education-এর ১৫তম সমাবর্তনঃ পুনর্মিলন উৎসব 

সমাবর্তন একইসঙ্গে একটি পুনর্মিলন উৎসব, প্রতিষ্ঠানের সকলের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ ও হৃদ্যতা গড়ে ওঠার উপায়।  সকলেই যে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে তার সার্থকতাকে এভাবে উদ্‌যাপনের মধ্যে দিয়ে কর্মপন্থা আরও সুদৃঢ় হয়। জ্ঞানীগুনীজনের এই চাঁদের হাটে কত পরিচিত মানুষের সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। কিছু বছর অন্তর অন্তর এইরকম সমাবর্তন উৎসব ছাত্র- শিক্ষক সকলকেই উদ্দীপিত করে তোলে। ২০২৪ সালের সমাবর্তনও এমনই আনন্দের মুহূর্ত নিয়ে হাজির হবে- অনেকদিন পর্যন্ত হয়তো সেই উৎসবের রেশ রয়ে যাবে সকলের মনে!