RICE Residential; সরকারি চাকরির প্রস্তুতির জন্য এক শান্ত ও স্বস্তিদায়ক পরিবেশ

সরকারি চাকরির পরীক্ষার পড়াশোনা গতানুগতিক পড়াশোনা নয়, এখানে প্রয়োজন সাধারণের থেকে অনেক গুণ বেশি মনোযোগ, পরিশ্রম এবং নিবিষ্টতা। RICE Residential এমন একটি আবাসিক প্রোগ্রাম যেখানে ছাত্রছাত্রীরাই আছে মনোযোগের কেন্দ্রে। কয়েকবছরের মধ্যেই অর্ধশতবর্ষ ছুঁতে চলা এই RICE Education-এর আদর্শকে আরও কয়েকধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে তৈরি হয়েছে যে RICE Residential, RICE-এর কর্ণধার প্রফেসর (ড.) সমিত রায়ের স্বপ্ন আগামী দশ বছরের মধ্যে সেখানে প্রায় ৫০০০ ছাত্রছাত্রী থাকবে যারা  UPSC, IAS-র মত সর্বভারতীয় পরীক্ষাকে ধ্যান জ্ঞান করে জীবনের মূল্যবান ২টো বছর এখানে কাটাবে। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে সফলতার জন্য প্রয়োজনীয় একটা কালচার তৈরি করে দিতে সক্ষম হবে RICE Residential । তাই তাদের নিরবিচ্ছিন্ন পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা এখানে করা হয়েছে অতীব যত্নে।

  • RICE Residential; পড়াশোনার জন্য সহায়ক পরিবেশ
  1. সরকারি চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির এই আবাসিক ব্যবস্থায় ছাত্রছাত্রীরা আসে তাদের পরিবার পরিজনকে ছেড়ে তাই তাদের জীবনধারণের সুব্যবস্থা এখানে সবার আগে প্রয়োজন। RICE Residential-এ ছাত্রছাত্রীদের জন্য আছে নিজস্ব রান্নাঘর যেখান থেকে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্য পরিবেশন করা হয়।
  2. RICE Residential-এ আছে ডাক্তারের ব্যবস্থা, যাতে শিক্ষার্থীর শারীরিক অসুস্থতায় কোন ঝুঁকি নিতে না হয়, সে সঙ্গে সঙ্গে সঠিক চিকিৎসা পায়। তাই সন্তানকে RICE Residential-এ রেখে অভিভাবকরাও নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন।    
  3. পড়াশোনার জন্য সবরকম সহায়তা করতে RICE Residential-এর শিক্ষকেরাও আবাসিক। তাই পড়াশোনার সময় কোন সমস্যা হলে শিক্ষার্থীরা সবসময় শিক্ষকদের কাছ থেকে পরামর্শ পেতে পারবে।
  4. RICE Residential গ্রুপ স্টাডিকে উৎসাহিত করে। আবাসিক শিক্ষক এবং সহপাঠীদের সাথে গঠনমূলক যোগাযোগ, পড়ালেখা নিয়ে আলোচনা ছাত্রছাত্রীদের প্রতিনিয়ত উৎসাহিত করে ও গড়ে তোলে সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ।
  5. RICE Residential-এ ছাত্র এবং ছাত্রীদের জন্য আলাদা থাকার তাদের নিরাপত্তা ও প্রাইভেসিকে সুরক্ষিত করে। সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত মেয়েদের হোস্টেল মেয়েদের জন্য বাড়ির মত নিশ্চিন্ত ঐকান্তিক পরিবেশ তৈরি করে দেয়।

 

  • RICE Residential; শিক্ষার্থীর মানসিক উজ্জীবনমূলক পরিবেশ

একনাগাড়ে শুধু পড়াশোনা করতে করতে ক্লান্তি আসা স্বাভাবিক। নগরকেন্দ্রিক এই জীবনে বিনোদনের একাধিক হাতছানি, সেসব দূরে সরিয়ে রেখে বইখাতায় ডুবে থাকা সহজ কথা নয়। এই শুষ্ক জীবনে সরসতা আনতে পারে একমাত্র প্রকৃতির সরস সান্নিধ্য। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘তপোবন’ প্রবন্ধে বলেছিলেনঃ

“ভারতবর্ষে এই একটি আশ্চর্য ব্যাপার দেখা গেছে, এখানকার সভ্যতার মূল প্রস্রবন শহরে নয়, বনে। ভারতবর্ষের প্রথমতম আশ্চর্য বিকাশ যেখানে দেখতে পাই সেখানে মানুষের সঙ্গে মানুষ অত্যন্ত ঘেঁষাঘেঁষি করে একেবারে পিন্ড পাকিয়ে ওঠে নি। সেখানে গাছপালা নদী সরোবর মানুষের সঙ্গে মিলে থাকবার যথেষ্ট অবকাশ পেয়েছিল। সেখানে মানুষও ছিল, ফাঁকাও ছিল, ঠেলাঠেলি ছিল না। অথচ এই ফাঁকায় ভারতবর্ষের চিত্তকে জড়প্রায় করে দেয় নি, বরঞ্চ তার চেতনাকে আরো উজ্জ্বল করে দিয়েছিল।”

দেশের ভবিষ্যৎ যারা গঠন করবে তাদের চেতনা কেবল কর্মের একঘেয়েমিতে যেন মুষড়ে না পড়ে, বরং প্রকৃতির উদারতায় তারাও হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ও প্রাণচঞ্চল তবেই তারা পারবে কর্মজীবনে তাদের সেরাটা দিতে।

  • RICE Residential; মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ

RICE Residential প্রোগ্রামটি শহরের কোলাহল থেকে একটু দূরে বারাসাতের অ্যাডামাস নলেজ সিটি ক্যাম্পাসে অবস্থিত। ১২০ একর জুড়ে বিস্তৃত অ্যাডামাস নলেজ সিটি রাবীন্দ্রিক ভাবনার প্রাচীন তপোবন এবং আধুনিক শিক্ষার এক অনন্য মেলবন্ধন ঘটিয়েছে। অনেক রকম পাখির আশ্রয় আম, জারুল, সফেদা গাছের ছায়াঘেরা এই অঞ্চল ধূসর শহরের বুকে একটুকরো সবুজ হৃৎপিণ্ডের মতন। বড় বড় মাঠ ছাত্রছাত্রীদের খেলাধূলার মুক্তি এনে দেয়। এই পরিবেশ শিক্ষার্থীর মনের উপরেও একটা সদর্থক প্রভাব বিস্তার করে, তাদের অনুপ্রাণিত করে লক্ষ্যে পৌঁছোবার জন্য। 

 

 

Published on April 29, 2024.

ক্লাস ১২এর পর কেরিয়ার গাইডেন্সে সেরা RICE Education

  • উচ্চমাধ্যমিকের পরে RICE Education: কেরিয়ার বিষয়ে চিন্তা

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পরে একটি ছেলে কিংবা মেয়ের কেরিয়ার নিয়ে ভাবনাচিন্তার পরিসর তৈরি হয়, কারণ অনেক সরকারি চাকরিই মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক যোগ্যতায় পাওয়া যায়। RICE Education-এর কর্ণধার প্রফেসর (ডঃ) সমিত রায়ের কথায়, তাঁর ৪০ বছরের দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় তিনি দেখেছেন সরকারি চাকরির সর্বভারতীয় পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য কোন বিশেষ মেধার প্রয়োজন নেই, মধ্যমেধার ছেলেমেয়েরাও সঠিক পরিকল্পনা, দীর্ঘ প্রস্তুতি এবং সাফল্যের জেদ নিয়ে শীর্ষস্থানীয় আমলা হিসাবে পদাধিকার লাভ করতে পারে।

 

  • উচ্চমাধ্যমিকের পরে RICE Education: প্রস্তুতি হবে সহজ

স্কুলে পড়াশোনার সময় সায়েন্স, আর্টস কমার্সের একাধিক বিষয় পড়তে হয়। এগুলো সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বিশেষ সহায়ক হবে। কারণ সরকারি চাকরির পরীক্ষায় স্পেশালাইজেশনের দরকার হয় না, দরকার হয় ১২- ১৫টি বিষয়ের জ্ঞান। আরও উল্লেখ্য যে সরকারি চাকরির পরীক্ষায় মাধ্যমিক স্তরের থেকেই ৬০% প্রশ্ন আসে। ২০% প্রশ্ন আসে উচ্চমাধ্যমিক স্তর থেকে আর মাত্র ১০% প্রশ্ন আসে গ্র্যাজুয়েট স্তর থেকে। সুতরাং, স্কুলের পড়াশোনার অব্যবহিত পরেই সরকারি চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিলে স্মৃতিতে সতেজ বিষয়গুলি সহজেই আয়ত্ত হবে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

 

  • উচ্চমাধ্যমিকের পরে RICE Education: কেরিয়ার গাইডেন্সে সেরা

মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক যোগ্যতায় একজন শিক্ষার্থী পেতে পারে MTS (Non-Technical), Rail, Intelligence Bureau, Post Office, CHSL এবং সরকারি গুরুত্বপূর্ণ  দপ্তরে প্রায় ৫০টিরও বেশী চাকরি।  স্কুলজীবনে ছাত্রছাত্রীরা এতো খবর জানেই না! আর জানবেই বা কি করে, আমাদের পারিপার্শ্বিকে সেই মনোভাবের অভাব আছে যেখানে প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে ক্লাস এইট- নাইন থেকেই  UPSC বা অন্যান্য সর্বভারতীয় পরীক্ষায় বসার মানসিক প্রস্তুতি গড়ে তোলা হয়। এখন সময় এসেছে যখন উচ্চমাধ্যমিকের পরেই শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরির বিষয়ে জানাতে হবে, কলেজের পড়াশোনার পাশাপাশি সরকারি চাকরির প্রশিক্ষণের জন্য ট্রেনিং ইন্সটিটিউশনে পাঠাতেই হবে। কারণ বর্তমানে চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ধরণের এমন কিছু পরিবর্তন আসছে যে শুধুমাত্র মুখস্থ করে এই প্রতিযোগিতায় সফল হওয়া যাবে না।

 

  • উচ্চমাধ্যমিকের পরে RICE Education: ক্যাপাসিটি বিল্ডিং

RICE Education কোন শিক্ষার্থীর সক্ষমতা বা দুর্বলতার ক্ষেত্রটি আগেই চিহ্নিত করে সে কোন কোন পরীক্ষায় বসার যোগ্য স্টুডেন্ট কাউন্সেলিং সেশনে তা প্রথমেই ঠিক করে নেওয়া হয়। তার পরের কাজ ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’। RICE Education-এ ১৫টা সাবজেক্টের বিশাল সিলেবাসকে ১২টা স্টাডি মেটেরিয়ালে ভাগ করে নিয়মিত স্টাডি মেটেরিয়াল দেওয়া হয়। হ্যান্ডআউট দিয়ে দেওয়া হয়। আছে রেফারেন্স মেটেরিয়াল এবং পরীক্ষার জন্য বিশেষভাবে তৈরি আলাদা স্টাডি মেটেরিয়ালও। প্রত্যেকটি SM ধরে ধরে নিয়মিত ক্লাস হয়। কোথাও কোন কিছু আটকে গেলে ছাত্রছাত্রীরা ডাউট ক্লিয়ারেন্স ক্লাসে সেই বিষয়ে শিক্ষকের কাছ থেকে আলাদা করে বুঝে নিতে পারে। ক্লাস চলাকালেই প্রত্যেক ক্লাসে চ্যাপ্টারভিত্তিক ক্লাস টেস্ট নেওয়া হয়। প্রত্যেক চ্যাপ্টার পড়ানোর পরে নিয়মিত সেই চ্যাপ্টারের হোমওয়ার্ক করতে দেওয়া হয়। ১ থেকে ১২ পর্যন্ত সমস্ত SM-এর উপর মিশন ১০০ পরীক্ষা নেওয়া হয়। মান্থলি পরীক্ষার ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রীদের মান্থলি রিপোর্ট দেওয়া হয়। প্রত্যেকটি সেমেস্টারের পরীক্ষার পর মকটেস্টগুলিও দিতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। এখানে আছে লাইব্রেরীর সুবিধা, সেলফ্‌ স্টাডির জন্য SM গুলির বাইরেও টেক্সট্‌ পড়তে হয়, রেফারেন্স পড়তে হয়। RICE-এর লাইব্রেরিতে আছে টেক্সট্‌ ও রেফারেন্স বইয়ের বিপুল সম্ভার। আছে ম্যাগাজিন, দৈনিক খবরের কাগজ, সাপ্তাহিক পত্রিকা এবং পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্নপত্র। ফলে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স থেকে শুরু করে ভাষার নির্মিতি, পরীক্ষায় সম্ভাব্য প্রশ্ন পর্যন্ত সবটুকুকে আয়ত্ত করতে এই লাইব্রেরি শিক্ষার্থীকে অনেকভাবে সাহায্য করে।

   

  • উচ্চমাধ্যমিকের পরে RICE Education: শিক্ষার্থীর সুযোগ -সহায়তা ও যত্ন 

RICE Education-এ অভিজ্ঞ শিক্ষকদের দ্বারা ক্লাস, তাঁদের সর্বতোপ্রকার সহযোগিতা ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনা অনেকটা সহজ করে দেয়। সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে RICE-এর WBCS, SSC-র ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যারা সমস্ত ক্লাসটেস্ট, মিশন ১০০, মকটেস্ট ইত্যাদিতে প্রথম ১০০ জনের মধ্যে থাকে, এবং Bangking পরীক্ষায় প্রথম ৫০ জনের মধ্যে থাকে তাদের নিয়ে সুপার ১০০ গ্রুপ তৈরি করে তাদের বিশেষ ক্লাস করানো হয়। তাদের পড়াশুনার মধ্যে রাখতে বুট ক্যাম্প, মনোবল অটুট রাখতে মোটিভেশনাল সেশন আয়োজন করা হয়। বছরভর যা যা সরকারি চাকরির পরীক্ষা হয় প্রত্যেকটি পরীক্ষার নোটিফিকেশন এবং ফর্ম ফিলাপের খুঁটিনাটি RICE Education থেকেই জানতে পারে পরীক্ষার্থীরা।  জীবিকা দিশারীর পোর্টাল ও মাসিক পত্রিকা থেকেও পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পায়। একজন শিক্ষার্থীর পড়াশোনা এবং RICE-এ পারফর্মেন্স সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ERP- তে তুলে রাখা হয়। ফলত প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর নিয়মিত ক্লাসে আসছে কিনা, হোমওয়ার্ক করে জমা দিচ্ছে কিনা, মান্থলি টেস্ট, মক টেস্টগুলোতে বসছে কিনা এবং কেমন রেজাল্ট করছে প্রতিটি বিষয় খুঁটিয়ে লক্ষ্য করা হয়। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়, প্রত্যেককেই স্পষ্ট করে চেনেন শিক্ষক থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানের প্রতিরক্ষক পর্যন্ত। সুতরাং একজন শিক্ষার্থীও এখানে অজ্ঞাত নয়। প্রত্যেকের প্রতি RICE Education অভিভাবক সুলভ, এবং শিশুর মত যত্নে তাদের গড়ে তোলে সরকারি চাকরির পরীক্ষায় সাফল্যের লক্ষ্যে। এই উদ্দেশ্যে  RICE Education পেরেন্ট- টিচার মিটিং-এরও ব্যবস্থা করে যাতে অভিভাবকেরা জানতে পারেন সন্তান কেমনভাবে পড়াশুনা করছে প্রতিষ্ঠানে, তাঁদের কথাও গুরুত্ব সহকারে শোনা হয়।

 

  • উচ্চমাধ্যমিকের পরে RICE Education: সফলদের কথা

RICE Education-এর দীর্ঘ ৩৮ বছরের পথ চলায় দেড় লক্ষেরও বেশী ছাত্রছাত্রী সাফল্যের মুখ দেখেছে। আলোয় ঝলমলে সেই মুখগুলো যখনই তাদের সাফল্যের কাহিনী বলবার সুযোগ পেয়েছে তখনই সর্বাগ্রে স্বীকার করেছে তাদের সাফল্যের পিছনে RICE Education-এর অবদানের কথা। প্রথমে তাদের কোন ধারণাই থাকে না কি কি সরকারি চাকরির পরীক্ষা হয় এবং তার জন্য কি কি পড়তে হয়। যেমন, অস্মিতা চ্যাটার্জি RICE Education-এর একজন সফল ছাত্রী। তার বাবা মায়ের ইচ্ছে ছিল মেয়ে সরকারি চাকুরে হোক। সেই আশা পূরণ করতে RICE Education-এ ভর্তি হয়েছিল অস্মিতা। বর্তমানে সে পশ্চিমবঙ্গ নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরে আইসিডিএস সুপারভাইসার হিসেবে নিয়োগ পেয়ে RICE Education-কে ধন্যবাদ জানিয়েছে। তার কথায় নিজের  যোগ্যতা সম্পর্কে সে আত্মবিশ্বাসী হয়েছে RICE-এ পড়তে এসেই। SSC CGL 2021 এর পশ্চিমবঙ্গের টপার এবং সারা ভারতে দ্বাদশ (১২) স্থান অধিকারী রিয়া দত্ত বর্তমানে অ্যাসিস্ট্যান্ট অডিট অফিসার হিসেবে কর্মরত। RICE Education-এর ১৫তম সমাবর্তন ২০২৪- এ রিয়াকে একটি চারচাকা গাড়ি দিয়ে তার কৃতিত্বকে সংবর্ধিত করা হয়েছে। সেই রিয়ার কথায় সরকারি চাকরির পরীক্ষা, সিলেবাস ইত্যাদি বিষয়ে তার কোন ধারণা ছিল না, সেই স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হয়েছে RICE Education-এ পড়তে এসেই। আবার WBCS 2023-এ 14 Rank করা স্বর্ণাভ হালদার, সেও RICE Education-এর ১৫তম সমাবর্তন ২০২৪-এ গাড়ি বিজয়ী, তার কথায় RICE Education-এর ফ্যাকাল্টিরা এই বিশাল সিলেবাসের কতটুকু পড়তে হবে আর কতটুকু পড়তে হবে না সেই কৌশল শিখিয়ে দিয়ে সিলেবাসটাকে সহজ ও অনায়াস করে দেন। 

 

  • উচ্চমাধ্যমিকের পরে RICE Education: জীবনে প্রতিষ্ঠা ও সম্মানের দিশারী

সরকারি চাকরির জন্য উচ্চশিক্ষার সার্টিফিকেট যথেষ্ট নয়, দরকার তার জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি এবং ট্রেনিং, এটা যত তাড়াতাড়ি হৃদয়ঙ্গম করবে ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকেরা তত তাড়াতাড়িই এ রাজ্যের ছেলেমেয়েরা সর্বভারতীয় আমলাতন্ত্রে নিজেদের জায়গা করে নেবে এবং পরবর্তী ৩০-৪০ বছর উচ্চবেতনে একটি সমৃদ্ধ জীবন কাটাবে। উচ্চমাধ্যমিকের পর সন্তান আর নাবালক থাকে না, তখন থেকেই তাকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও কেরিয়ার সম্বন্ধে দায়িত্বশীল হতে শেখাতে হবে। আর অলসতা নয়, আর কর্মজীবন সম্বন্ধে উদাসীনতা নয়, স্নাতক হওয়ার পাশাপাশি তাকে পাঠাতে হবে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। তাহলেই স্নাতক হওয়ার পর সে একটি সম্মানজনক ও নিশ্চিত কর্মজীবন পাবে – বেকারত্বের দুঃসহ ভার তাকে বইতে হবে না।    

প্রকাশিত হয়েছে RRB RPF কনস্টেবল এবং SI ২০২৪ পদের জন্য আবেদনের বিজ্ঞপ্তি

প্রকাশিত হয়েছে RRB RPF কনস্টেবল এবং SI ২০২৪ পদের জন্য আবেদনের বিজ্ঞপ্তি

রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড (RRB) রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী এবং রেলওয়ে সুরক্ষা বিশেষ বাহিনীতে কনস্টেবল (এক্সিকিউটিভ) এর 4,208টি শূন্য পদের জন্য নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গত ১৫ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে।

  • RRB RPF কনস্টেবল এবং SI নিয়োগ 2024; জব প্রোফাইল

RPF (রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স)-এ একজন কনস্টেবলের দায়িত্ব হল সাধারণত রেলওয়ের নিরাপত্তা রক্ষা করা, আইন প্রয়োগ করা, নজরদারি করা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ, অস্ত্র চালনা ইত্যাদি। রেলের যেকোন দুর্যোগ সামলানোর জন্য তারা দলবদ্ধভাবে কাজ করে। ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিপদসংকুল পরিস্থিতির মধ্যে তাদের কাজ করতে হয়।

RPF রেলওয়ে এবং নাগরিকদের সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং মঙ্গল নিশ্চিত করতে রেলওয়ের সিগন্যাল পরিকাঠামো রক্ষা এবং অন্যান্য বিভিন্ন দায়িত্বপূর্ণ কাজে RPF সাব-ইন্সপেক্টরদের অন্তর্ভুক্ত করে। RPF সাব-ইন্সপেক্টররা ভারতীয় রেলের কার্যক্রম সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য অন্যান্য বিভাগের কর্মীদের সাথে নিয়মিত সহযোগিতা করেন। সরকারী রেলওয়ে পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর স্থানীয় পুলিশ, এবং রেলওয়ের ব্যবস্থাপনার মধ্যে সংযোগ সহজতর করার দায়িত্ব বহন করে। তাদের অন্যান্য দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে অপরাধ তদন্ত করা, সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা, অন্যায়কারীদের গ্রেপ্তার করা, প্রমাণ সংগ্রহ করা, সাক্ষীর বক্তব্য রেকর্ড করা এবং আদালতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা।

 

  • RRB RPF কনস্টেবল এবং SI নিয়োগ 2024; স্যালারি, সুবিধা এবং ভাতা

রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনীর কনস্টেবল পদের বেসিক পে হল ৭ম পে লেভেল CPC অনুযায়ী ২১,৭০০ টাকা। এছাড়া বিভিন্ন ভাতা যেমন, পরিবহন ভাতা, বাড়ি ভাড়া ভাতা (HRA), নাইট ডিউটি ভাতা, ওভারটাইম ভাতা, রেশন ভাতা ও গ্র্যাচুইটি, পেনশন ও মেডিক্যাল সুবিধা ইত্যাদি দেওয়া হয়।

RRB RPF SI-দের বেসিক পে হল ৭ম পে লেভেল CPC অনুযায়ী ৩৫,৪০০ টাকা। এছাড়া বিভিন্ন ভাতা যেমন, রেশন ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড (PF), ওভারটাইম ভাতা, গ্র্যাচুইটি, শিক্ষাগত সহায়তা, ভ্রমণ এবং ট্রান্সফার ভাতা, পাস এবং প্রিভিলেজ টিকেট অর্ডার, নাইট ডিউটি ​​ভাতা, পোষাকের জন্য ভাতা এবং অন্যান্য আর্থিক ভাতা আছে।

 

  • RRB RPF কনস্টেবল এবং SI নিয়োগ 2024; আবেদন পদ্ধতি

পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে হবে সম্পূর্ণ অনলাইন ফর্ম পূরণ করে। অনলাইন আবেদনের সময় প্রার্থীদের প্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। যদি কোনও প্রার্থীর ইতিমধ্যেই একটি অ্যাকাউন্ট করা থাকে, তাহলে তাদের লগ ইন করে এই CEN-এ আবেদন করার জন্য একই একাউন্টের শংসাপত্র ব্যবহার করতে হবে (যেমন, CEN নম্বর RPF 02/2024)। যদি প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত অ্যাকাউন্ট তৈরি না করে থাকেন, তাহলে তাদের এই আবেদন পূরণ করার আগে অবশ্যই একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। প্রার্থীদের অ্যাকাউন্ট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় নথি এবং শংসাপত্রগুলি সুব সচেতনভাবে আপলোড করতে হবে কারণ একবার অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে আর সংশোধন করা যাবে না। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে পরীক্ষার ফি দিতে হবে।  চূড়ান্ত জমা দেওয়া আবেদনপত্র ডাউনলোড করে রাখা উচিত ভবিষ্যতের রেফারেন্সের জন্য। 14 মে 2024 RPF নিয়োগের জন্য আবেদনের শেষ তারিখ। অনলাইন আবেদন ফর্মগুলি RPF ওয়েবসাইট @www.rpf.indianrailways.gov.in-এ পাওয়া যাবে।

  • RRB RPF কনস্টেবল এবং SI নিয়োগ 2024; আবেদন ফি

কয়েকটি নির্দিষ্ট বিভাগ ছাড়া সকল প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি হল ৫০০ টাকা। এই ফি থেকে, প্রার্থী কম্পিউটার-ভিত্তিক পরীক্ষায় (CBT) উপস্থিত হওয়ার ব্যাঙ্ক চার্জ কেটে নিয়ে ৪০০ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। SC, ST, প্রাক্তন সৈনিক, মহিলা, ট্রান্সজেন্ডার, সংখ্যালঘু, এবং অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণী (EBC)-র অন্তর্গত প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি হল ২৫০ টাকা। তাদেরও উপস্থিতির পরে ব্যাঙ্ক চার্জ কেটে নিয়ে বাকি টাকা ফেরত দেওয়া হবে। সমস্ত পেমেন্ট অনলাইনে ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড অথবা UPI-এর মাধ্যমে করতে হবে।

  • RRB RPF কনস্টেবল এবং SI নিয়োগ 2024; শূন্যপদ

RPF কনস্টেবল এবং SI পদে 2024 সালে নিয়োগের জন্য রেল মন্ত্রক মোট ৪৪৬০টি শূন্যপদ প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ৪২০৮টি শূন্যপদ RPF কনস্টেবলের জন্য এবং ৪৫২টি শূন্যপদ RPF SI-এর জন্য। প্রকাশিত শূন্যপদ পুরুষ ও মহিলা উভয় প্রার্থীদের জন্যই। মোট শূন্যপদের ১৫% মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। অর্থাৎ কনস্টেবলে (এক্সিকিউটিভ) মোট শূন্য পদের মধ্যে ৩৫৭৭টি পদ পুরুষ প্রার্থীদের জন্য, এবং ৬৩১টি শূন্যপদ মহিলা প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দ।

  • RRB RPF কনস্টেবল এবং SI নিয়োগ 2024; শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বয়সসীমা

যে প্রার্থীরা RPF কনস্টেবল (এক্সিকিউটিভ) পদের জন্য আবেদন করতে চান তাদের মাধ্যমিক পাস বা সমমানের শংসাপত্র থাকতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত বয়স ১/৭/২০২৪ এর হিসাবে ১৮ বছর থেকে ২৮ বছরের মধ্যে।

RPF SI পদের জন্য প্রার্থীদের একটি স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হতে হবে। এই পদের জন্য সাধারণ প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত বয়সসীমা ১/৭/২০২৪ এর হিসেবে ২০ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে। তবে কিছু বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সরকারী নিয়ম অনুসারে বয়সের শিথিলকরণ আছে।

 

  • RRB RPF কনস্টেবল এবং SI নিয়োগ 2024; নির্বাচন প্রক্রিয়া 2024

RPF তথা রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সে কনস্টেবল এবং সাব-ইন্সপেক্টরের মতো বিভিন্ন পদের প্রার্থীদের একাধিক ধাপে মূল্যায়ন করা হয়, যেমনঃ-

প্রথম পর্যায়: কম্পিউটার-ভিত্তিক পরীক্ষা বা CBT। প্রাথমিক অনলাইন পরীক্ষা নেওয়া হয় জেনারেল অ্যাওয়ারনেস, পাটিগণিত, জেনারেল ইনটেলিজেন্স এবং রিজনিং-এই বিষয়গুলির উপর ।

দ্বিতীয় পর্যায়: ফিজিকাল এলিজিবিলেটি টেস্ট বা PET এবং ফিজিকাল মেজারমেন্ট টেস্ট বা PMT। CBT তে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের দৌড়, লং জাম্প এবং হাই জাম্পের মতো ক্রিয়াকলাপগুলির মধ্য দিয়ে যাচাই করা হয়। শারীরিক মান পোস্ট অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়।

তৃতীয় পর্যায়ঃ ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন বা নথি যাচাই হল এর পরের ধাপ। যোগ্যতা নিশ্চিত করার জন্য প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় নথি যাচাই করতে দিতে হবে।

চতুর্থ পর্যায়ঃ মেডিকেল পরীক্ষা।  ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন-এর পরে প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় মান পূরণের জন্য মেডিকেল চেক আপ করা হয়।

চূড়ান্ত পর্যায়ঃ মেধা তালিকা প্রকাশ। CBT, PET, PMT, এবং নথি যাচাইকরণের পর মেডিকেল পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে মেধা তালিকা তৈরি হয়।

  • RRB RPF কনস্টেবল এবং SI নিয়োগ 2024; পরীক্ষার প্যাটার্ন

RPF কনস্টেবল বা SI পদের জন্য প্রথমে একটি কম্পিউটার-ভিত্তিক অনলাইন পরীক্ষা পাস করতে হবে। এই অনলাইন পরীক্ষায় প্রশ্ন হবে MCQ টাইপ। কনস্টেবল পদের জন্য প্রশ্ন মাধ্যমিক স্তরের থেকেই আসে আর এস আই পদের জন্য প্রশ্ন আসে স্নাতক স্তরের থেকে। পরীক্ষার সময়কাল 90 মিনিট। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য 1/3 নম্বরের নেগেটিভ মার্কিং রয়েছে।

  • RRB RPF কনস্টেবল এবং SI নিয়োগ 2024; CBT পরীক্ষার নম্বর বিভাজন

পাটি গণিত থেকে ৩৫টি প্রশ্নে থাকবে ৩৫ নম্বর, জেনারেল ইন্টেলিজেন্স ও রিজনিং থেকে ৩৫টি প্রশ্নে থাকবে ৩৫ নম্বর এবং জেনারেল অ্যাওয়ারনেস থেকে ৫০ নম্বরের ৫০টি প্রশ্ন থাকবে। অর্থাৎ সর্বমোট ১২০টি প্রশ্নে ১২০ নম্বর বরাদ্দ থাকবে।

রেল মন্ত্রক তার কর্মীদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার জন্য একাধিক সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে এবং এক্ষেত্রে কর্মজীবনের সাফল্য ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদন্নোতিরও যথেষ্ট সুযোগ আছে। RICE education-এর GENCOM বা WBCS যেকোন কোর্সের শিক্ষার্থীরাই রেল মন্ত্রকের এই পরীক্ষাটি দিতে পারবে। কারণ এখানে যে বিষয়গুলির উপর কম্পিউটার-ভিত্তিক পরীক্ষা (CBT) হয় সেগুলো সবই RICE education-এ অত্যন্ত যত্নসহকারে শেখানো হয়।    

সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি ক্লাস 12-এর পরেই

  • ক্লাস 12-এর পরে; বৃহত্তর জীবনের স্বাদ

ক্লাস ১২এর পর স্কুল জীবনের পড়াশোনা শেষ হয়ে যায়। এরপর পালা গ্র্যাজুয়েট হওয়ার অথবা কোন পেশাদার প্রশিক্ষণ  নেওয়ার। এইসময় থেকেই ছাত্রছাত্রীরা ভোটাধিকার সহ নাগরিকত্বের আরও অন্যান্য সুযোগসুবিধা পেতে আরম্ভ করে। একজন দায়িত্বশীল সুনাগরিক হয়ে ওঠার আরম্ভ এখান থেকেই। বড় হয়ে ওঠার আনন্দকে সম্পূর্ণভাবে উপভোগ করতে বড় হয়ে ওঠার দায়িত্ব গ্রহণ করার উপযুক্ত হতে হবে এখন থেকেই।

  • ক্লাস 12-এর পরে; প্রতিষ্ঠা কোন পথে?

ছোট ছোট পরীক্ষার পর যে সময় জীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য অনেক বড় পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে সেই সময় থেকেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পড়াশোনায় শিথিলতা এবং অন্যান্য বিনোদনে আসক্তি বাড়তে থাকে। আসলে তারা এই পর্যায়ে এসে হঠাৎ লক্ষ্যহারা হয়ে পড়ে অথবা সঠিক দিশা খুঁজে পায় না। এই বিভ্রান্তি কাটিয়ে সঠিক দিকনির্দেশ করতে পারে RICE Education-এর মত আস্থা ও নির্ভরতার যোগ্য একটি প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

  • ক্লাস 12-এর পরে; উচ্চশিক্ষা নাকি সরকারি চাকরির প্রস্তুতি

সরকারি চাকরির জন্য প্রাথমিকভাবে উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন হয় না, কারণ সরকারি চাকরির পরীক্ষায় গ্যাজুয়েট বা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্তর থেকে মাত্র ১০% প্রশ্ন আসে। তাই শুধু শুধু জেনারেল কোর্সের শেষ হওয়ার অপেক্ষায় সময় পার না করাই ভালো। তাদেরই পোস্টগ্র্যাজুয়েশনের পর পিএইচডি-র মত উচ্চশিক্ষার ভাবনায় থাকা চলে যারা অত্যন্ত মেধাবী এবং ভবিষ্যতে গবেষণামূলক কাজ করতে চায়। নইলে কলেজের পড়াশোনার পাশাপাশি সরকারি চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হওয়াই বিচক্ষণতার কাজ। পরীক্ষা দিতে শুরু করে দেওয়ার পরেও অনেক সুযোগ আছে নিজের ডিগ্রি বাড়িয়ে কর্মজীবনে উন্নতি করার।

  • ক্লাস 12-এর পরে; সরকারি চাকরির পরিকল্পনা

ক্লাস 12-এর পর থেকেই শুরু হয় বিভিন্ন পেশাদারি প্রশিক্ষণ, ক্যাম্পাসিং-এর মাধ্যমে চাকরিও পাওয়া যায়। কিন্তু এতো পরিশ্রমের পরেও বেসরকারি চাকরিতে এক ধরণের অনিশ্চয়তা কাজ করে। আছে বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে ছাঁটাইয়ের ভয়, আছে মানসিক চাপ। তাই সরকারি চাকরির কোন বিকল্প হয় না, আর্থিক নিরাপত্তা থেকে সামাজিক প্রতিপত্তি সবই এই সরকারি চাকরির মাধ্যমে অর্জন করা যায়। তাই অনেক ইঞ্জিনিয়ারকেও ব্যাংক এবং অন্যান্য সরকারি ক্ষেত্রে দেখা যায়।

  • ক্লাস 12-এর পরে; সরকারি চাকরির প্রস্তুতির সেরা সময়

সরকারি চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা তৈরি হয়ে যায় মাধ্যমিক পাশ করার পর থেকেই, আর উচ্চমাধ্যমিকের পর সেই সুযোগ অনেক বেশি। যেকোন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে মাধ্যমিক- উচ্চমাধ্যমিক স্তর থেকেই। সাধারণত, মাধ্যমিক স্তরের থেকেই প্রশ্ন আসে ৭০ শতাংশ, উচ্চমাধ্যমিক থেকে ২০ শতাংশ। মাধ্যমিক- উচ্চমাধ্যমিক স্তরে সায়েন্স, আর্টস কমার্সের একাধিক বিষয় পড়তে হয়, সরকারি চাকরির পরীক্ষাতেও এইসব বিষয় এবং আরও দু-একটা অতিরিক্ত বিষয় মিলিয়ে মোট ১২টা বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হয়। সুতরাং সদ্য উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর স্মৃতিতে বিষয়গুলি টাটকা ও সতেজ থাকতে থাকতেই সরকারি চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া উচিত। এরজন্য এটাই একদম সেরা সময়। যত তাড়াতাড়ি প্রস্তুতি শুরু হবে তত তাড়াতাড়ি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এই কঠিন কম্পিটিশনে উত্তীর্ণ হওয়া যাবে আর উন্নতির সুযোগও থাকবে অনেক বেশি।

  • ক্লাস 12-এর পরে; কি কি সরকারি চাকরি পাওয়া যায়

এবার দেখে নেওয়া যাক মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক যোগ্যতায় কি কি চাকরি পেতে পারে একজন শিক্ষার্থী। শুধুমাত্র মাধ্যমিক যোগ্যতাতেই পাওয়া যায় MTS (Non-Technical), Rail, Intelligence Bureau, Post Office, এবং সরকারি দপ্তরে একাধিক চাকরি। উচ্চমাধ্যমিকের পর সুযোগ আরও বেশি।  CHSL, MTS (Non-Technical), Rail ইত্যাদির মত গুরুত্বপূর্ণ  দপ্তরে ৭০ রকমের চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা তৈরি হয়ে যায় উচ্চমাধ্যমিকের পরে।

 

  • ক্লাস 12-এর পরে; বেকারত্ব নয় চাই প্রতিষ্ঠা ও সম্মান

আমাদের সমাজমানসে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় ছাত্রছত্রীদের প্রতি যে দৃষ্টিভঙ্গি থাকে কলেজ পড়ুয়াদের প্রতি কিন্তু সেই মনোভাব ক্রমশ বদলাতে থাকে, সকলেই একটু আধটু বলতে শুরু করে ভবিষ্যৎ কর্মজীবন নিয়ে পরিকল্পনার কথা। বেশীরভাগ ছেলেমেয়েকেই পড়াশোনা শেষ করে বসে থাকলে বেকারত্বের গঞ্জনা শুনতে হয়। এই হতাশা, এই শূন্যতা কেবলমাত্র উচ্চমাধ্যমিকের পর সঠিক পরিকল্পনা না করে স্রোতে গা ভাসিয়ে দেওয়ার জন্য! বাকি জীবন সম্মান ও স্বাচ্ছন্দে কাটানোর জন্য উচ্চমাধ্যমিকের পর থেকেই চাকরির কথা ভাবতে হবে, কঠোর পরিশ্রমের অভ্যাসকে কাজে লাগাতে হবে এবং অলসতা ত্যাগ করতে হবে। সঠিক পরিকল্পনা, পরিশ্রম, সফলতার অদম্য জেদ নিয়ে লেগে থাকলে সরকারি চাকরি হবেই- বিগত ৩৮ বছরের সাধনা থেকে RICE Education এই অভিজ্ঞতাই অর্জন করেছে। তাই আমরা জোর দিয়ে বলতে পারি অলস বিনোদনে গা-ভাসিয়ে বেকারত্বের ফাঁদে না পড়ে উচ্চমাধ্যমিকের পর থেকেই সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুত হও।